সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকালে (Coronavirus) গোটা দেশ যখন কার্যত ঘরবন্দি, তখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুধু যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল তাই নয়, সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয়তাও হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গোটা দেশ কার্যত ঘরবন্দি অবস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেও এর কোনও নির্দিষ্ট নিয়মাবলি ছিল না। যার ফলে কাজের ক্ষেত্রে কর্মী এবং সংস্থা দু’পক্ষকেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। সেই সমস্যা মেটাতে স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনের (SEZ) জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নতুন নিয়মাবলী চালু করল কেন্দ্র।
কেন্দ্রের ঘোষিত নিয়মাবলি:
কেন্দ্রের বাণিজ্য বাণিজ্য জানিয়ে দিয়েছে এবার থেকে স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনে কর্মরত কর্মীরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) করতে পারবেন। বাড়ি থেকে কাজ করার সর্বোচ্চ সীমা এক বছর। একসঙ্গে সংস্থার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মী ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে পারবেন। তবে বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের অনুমতি সাপেক্ষ এই সময়সীমা এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: শিব সেনা কার? সুপ্রিম কোর্টে জোর টক্কর শিণ্ডে-উদ্ধবের, মামলা গড়াতে পারে বৃহত্তর বেঞ্চে]
কেন্দ্রের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী কর্মীদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ পাবেন। যারা ভ্রাম্যমাণ কর্মী তাঁদেরও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ পাবেন। বিশেষভাবে সক্ষম কর্মীদেরও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এর ফলে এইসব কর্মীরা উপকৃত হবেন।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয়বার, হরিয়ানা-ঝাড়খণ্ডের পর মোদির গুজরাটে পুলিশকর্মীকে পিষল ট্রাক]
বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, করোনাকালে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার প্রবণতা। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের দাবি আসছিল। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই ২০০৬ এর স্পেশ্যাল ইকোনমিকস রুল-এ ৪৩-এর এ ধারায় সারা দেশের স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনগুলির জন্য এই নীতি নিল কেন্দ্র। নতুন নিয়মাবলীতে বেতনকাঠামো পরিবর্তনের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।