সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) রাতারাতি লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে গাধার (Donkey) মাংসের বিক্রি। এক কেজি মাংসের দাম ৬০০ টাকা। পূর্ণবয়স্ক গাধা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়! আর তার ফলে রাজ্যে হু হু করে কমছে গাধার সংখ্যা। অথচ গাধার মাংস বিক্রি কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তারপরও আইনের তোয়াক্কা না করে চোরাবাজারে হইহই করে লোকেরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে গাধার মাংস। কিন্তু কেন?
আসলে এর পিছনে কাজ করছে একটা ভ্রান্ত ধারণা। মনে করা হচ্ছে হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের অসুখে ওষুধ হিসেবে এর জুড়ি নেই। সেই সঙ্গে যে কোনও রকমের ব্যথার উপশমও নাকি হয় গাধার মাংস খেলে। এরই পাশাপাশি অনেকের বিশ্বাস, যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে গাধার মাংস! এই ধরনের ধারণাগুলি বশবর্তী হয়ে অন্ধ্রে ক্রমেই বাড়ছে এই পশুর মাংসের চাহিদা। অবস্থা এমন, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু থেকে গাধার চোরাচালান শুরু হয়েছে! দাম যতই বাড়ুক, চাহিদার অন্ত নেই।
[আরও পড়ুন : মোদির করোনা টিকা নেওয়াতেও ভোট-অঙ্ক! অধীর-সহ বিরোধীদের কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে]
স্বাভাবিক ভাবেই অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার তৎপর হয়ে উঠেছে যে করে হোক গাধার মাংস বিক্রি আটকাতে। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, প্রকাশম, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী ও গুন্টুরের মতো জেলায় এই মাংসের চাহিদা সর্বাধিক। পশু অধিকার কর্মীদের দাবি, মূলত প্রকাশম জেলার স্তুর্তাপুরম অঞ্চল থেকে এই বিশ্বাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। এখানেই শেষ নয়। এরই পাশাপাশি আরও একটি বিশ্বাস রয়েছে। গাধার রক্ত পান করলে নাকি জোরে দৌড়নো যায়! দক্ষিণের হিট ছবি ‘ক্র্যাক’-এ দেখা গিয়েছে শ্রুতি হাসান, রবি তেজার মতো তারকারাও গাধার রক্ত পান করছেন। এই সমস্ত কারণই গাধার চোরাচালান বাড়ছে। যাকে ঘিরে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে অন্ধ্র প্রশাসনের।