সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার রেলের চাকরির পরীক্ষার নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি (NTPC)-র গ্রুপ ডি কর্মচারী নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল বিহার (Bihar)। ওইদিন ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। অশান্তি হয় গয়া, জেহানাবাদ-সহ সেরাজ্যের একাধিক স্টেশনে। এবার ওই ঘটনায় নাম বিভ্রাটের কারণে রেলকে চিঠি দিল দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (NTPC)।
ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন রেলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিহারের ঘটনায় তাদের সংস্থার নাম খারাপ হচ্ছে। যেহেতু রেলের চাকরির পরীক্ষা আর বিদ্যুৎ সংস্থার সংক্ষিপ্ত নাম একই-এনটিপিসি। একটি বিবৃতিতে বিদ্যুৎ সংস্থা জানিয়েছে, রেলের এনটিপিসি পরীক্ষার সঙ্গে যে বিদ্যুৎ সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই, এই বিষয়ে জানাতে হবে রেলকে।
[আরও পড়ুন: রেলের চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে রণক্ষেত্র বিহার, ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর]
রেলকে লেখা চিঠিতে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা জানিয়েছে, “আমরা আশা করছি পরিস্থিতি সামলাতে রেল সব রকম পদক্ষেপ করছে। কিন্তু আমরা এই আর্জিও জানাচ্ছি যে, রেল যেন তাদের এই পরীক্ষার নাম বদল করে।” চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “অনেকেই ধরে নিচ্ছেন যে, পরীক্ষার প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ সংস্থা কোনও ভাবে যুক্ত। এর ফলে আমাদের সম্মানহানি হচ্ছে।”
এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওই পরীক্ষায়। এক বিবৃতিতে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, “একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। পরীক্ষায় যাঁরা সফল হয়েছেন ও যাঁরা হননি উভয়ের সঙ্গে কথা বলবে কমিটির সদস্যরা। রেল মন্ত্রককে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি।”
[আরও পড়ুন: NTPC-কে দশ লক্ষ টন ‘থার্মাল কোল’ জোগানের বরাত, বছরের শুরুতে লক্ষ্মীলাভ আদানি গোষ্ঠীর]
প্রসঙ্গত, বিহারে পরীক্ষার্থীদের অগ্নিগর্ভ আন্দোলনের পর আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে রেল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার পর মুখ খুলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “আমি পরীক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি, আপনার আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যাবতীয় অভিযোগ ও দাবি দাওয়া গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।”