ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আবারও জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পেল বাংলার আরেক প্রকল্প। কেন্দ্রের পুরস্কার ঘরে আনল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচি। ভারত সরকারের ‘অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সেলেন্স’ প্রাপ্তির খবর জানিয়ে টুইট করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (AITC)। জনগণের জন্য যথাযথ পরিষেবা প্রদানই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই টুইটে। জাতীয় পুরস্কারটি রাজ্যবাসীকে উৎসর্গ করেছে শাসকদল।
কম্পিউটার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার (CSI) ১৯ তম প্রজেক্টে ই-গভর্ন্যান্সের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প জিতে নিয়েছে পুরস্কার। এর আগেও রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প কেন্দ্রের পুরস্কার পেয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে একাধিকবার রাজ্যের ঝুলিতে এসেছে ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’। আর এবার সাম্প্রতিকতম সরকারি প্রকল্প খুব কম সময়ে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য কেন্দ্রের নজর কাড়ল। ‘অ্যাওয়ার্ড অফ এক্সেলেন্স’ দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।
[আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডে পুলিশের চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলেই, অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির]
একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র দান, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জয় জহর, ১০০ দিনের কাজ – সহ মোট ১০টি প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই সব প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অভাব-অভিযোগ শুনতে গ্রামীণ ও পুরসভা এলাকায় শিবির করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটে জিতে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর তা চালু হয়। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।
[আরও পড়ুন: মেয়েদের বিয়ের বয়স: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণই লক্ষ্য, সংসদীয় কমিটিতে মহিলা সদস্য একজনই]
ইতিমধ্যেই ২ দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ সেখানে গিয়ে উপকার পেয়েছেন। চটজলদি আটকে থাকা নানা পরিষেবা মিলেছে। নতুন বছরের গোড়াতেই চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের ধাক্কায় রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ জারি করায় তা পিছিয়ে গিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের কাজ শুরু হবে। তার আগেই এই প্রকল্পের পুরস্কারপ্রাপ্তি নিঃসন্দেহে বড় অনুপ্রেরণা।