সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর থেকে পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও সরেজমিনে কোনও ফল মেলেনি। বিতর্কিত এলাকা থেকে এখনও সরতে নারাজ লালফৌজ। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরে-বাইরের বাজেট বিগড়ে দিয়েছে কেন্দ্র,’ টুইটে ফের মোদি সরকারকে আক্রমণ রাহুলের]
শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিনের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন জয়শংকর। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে সংঘাত নিয়ে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের মধ্যে এপর্যন্ত নয় দফা আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই বিষয়ে কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাস্তবে তেমন কিছু নজরে আসছে না। গতবছরের ঘটনার পর চিনা ফৌজের মোকাবিলায় আমরা নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছি।”
বিশ্লেষকদের মতে, পূর্ব লাদাখে যুদ্ধের জন্য তৈরি ভারত। চিনা আগ্রাসন যে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, তা প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু সীমান্তে এমন পরিস্থিতি অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। কার্যত বারুদের স্তূপের উপর থাকা সীমান্তে একটি সামান্য ঘটনাও বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। ফলে রাজনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশকে রফাসূত্র খুঁজতে হবে।