সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের ভুল নাকি প্রতারণা! কারণ যাই হোক, আয়কর বিভাগের কীর্তিতে মাথায় হাত দেশের দুই রাজ্যের দুই ছোট ব্যবসায়ীর পরিবারের। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ, একপ্রকার দিন আনা দিন খাওয়া ওই দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে সরকারি নোটিস এসে পৌঁছেছে। তাতে বলা হচ্ছে, কোটি কোটি টাকার জিএসটি বকেয়া রয়েছে তাঁদের। যা পরিশোধ না করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার ডিম বিক্রেতা প্রিন্স সুমন। ঠেলাগাড়িতে করে ডিম বেচে বেড়ান। আয়কর দপ্তর থেকে তিনি যে নোটিস পেয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে দিল্লিতে তাঁর নামে একটি কোম্পানি নথিভুক্ত রয়েছে। ওই সংস্থার নাম প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ। চামড়া, কাঠ এবং লৌহদ্রব্যের ব্যবসা করে সংস্থাটি। অভিযোগ উঠছে, দুবছর নাকি ওই সংস্থা জিএসটি দেয়নি। ওই কোম্পানির বার্ষিক ব্যবসা ৫০ কোটি টাকার। সেই অনুযায়ী ৬ কোটি টাকার বকেয়া জিএসটি মেটাতে হবে প্রিন্স সুমনকে।
সুমন বলছেন, "ঠেলাগাড়িতে ডিম বিক্রি করে সংসার চালাই। কখনও দিল্লি যাইনি। অথচ আমাকে দিল্লির বাসিন্দা দেখিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। কী করব বুঝতে পারছি না।" সুমনের বাবা বলছেন, "৫০ কোটি টাকা থাকলে কী আর কেউ এত কষ্টে থাকে।" তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য, সম্ভবত প্রিন্স সুমনের ব্যক্তিগত নথির অপপ্রয়োগ হয়েছে। পুলিশ এবং আয়কর দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
একই রকম আর একটি কাণ্ড ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। মহম্মদ হরিস নামের আলিগড়ের এক জুস বিক্রেতা ৭ কোটি টাকার বকেয়া জিএসটি-র নোটিস পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি বলছেন, "সামান্য ফলের রস বেচে সংসার চলে। জানি না কেন এই নোটিস পেলাম। আশা করি সরকার বিষয়টা দেখবে।" মনে করা হচ্ছে প্রিন্স সুমনের মতো হরিসেরও নথির অপব্যবহার হচ্ছে। আয়কর দপ্তরের ভূমিকাও এক্ষেত্রে প্রশ্নাতীত নয়।