সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের পরে মহারাষ্ট্রে ‘শিবসেনা দখলের’ লড়াই গিয়েছিল বম্বে হাই কোর্টে। উদ্ধব ঠাকরের শিবির সোমবার সকালে বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানিয়েছিলেন। বেলা গড়াতেই বম্বে হাই কোর্টে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) শিবিরও। তবে সম্পূর্ণ অন্য দাবি তুলে। আর বুধবার বম্বে হাই কোর্ট মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুল নারওয়েকর এবং উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠীর ১৪ বিধায়ককে নোটিস জারি করেছে।
গত বুধবার, ১০ জানুয়ারি মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরওয়েকার একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীকে আসল শিবসেনার তকমা দেন। পাশাপাশি শিণ্ডে গোষ্ঠীর যে ১৬ জন বিধায়ককে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিল উদ্ধব গোষ্ঠী তাও খারিজ করে দেন স্পিকার। সোমবার সকালে শীর্ষ আদালতে স্পিকার নারওয়েকরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল উদ্ধব শিবিরের তরফে। শিবসেনার ভাঙনের মধ্যে দিয়ে ২০২২-এর জুনে উদ্ধব সরকারের পতন হয়েছিল। কুর্সিতে বসেছিলেন শিণ্ডে। সেই সময়ে দলের অধিকারের দাবি করতে গিয়ে দু’পক্ষই অন্য শিবিরের বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদন করে।
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরের গৃর্ভগৃহে রামলালা! ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত অযোধ্যা]
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের তরফে প্রথমে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনার চিফ হুইপ ভারতশেট গোগাওয়ালে, ঠাকরে গোষ্ঠীর বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা না করার নরওয়েকরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি আবেদন করেন। এর জবাবে এদিন আদালত ওই নোটিস দেয়।
[আরও পড়ুন: জন্মের প্রমাণপত্র হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় আধার! বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
এদিন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি গিরিশ কুলকার্নি এবং ফিরদৌস পুনিওয়ালার বেঞ্চ সব পক্ষের হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এবং ৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। সোমবার স্পিকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান উদ্ধব ঠাকরে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও করেন ঠাকরে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি বিধানসভার স্পিকার আদালতের নির্দেশ সম্ভবত বুঝতে পারেননি। তাঁকে যা করতে বলা হয়েছিল তা তিনি পালন করেননি। ”