হেমন্ত মৈথিল: মিল্কিপুরর প্রেস্টিজ ফাইটে জয়ে উচ্ছ্বসিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফলপ্রকাশের পর যোগী বলছেন, "এই জয়ই বুঝিয়ে দিল দেশে লুট ও মিথ্যার রাজনীতির অবসান হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ এখন সুশাসন এবং পরিষেবার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।"
লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে বিজেপিকে হারতে হয়েছিল ফৈজাবাদে। ওই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে রামজন্মভূমি অযোধ্যা। ফৈজাবাদে বিজেপি প্রার্থী লাল্লু সিংকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন অবধেশ প্রসাদ। ৬ মাসও হয়নি। লোকসভা ভোটে অযোধ্যায় হারের বদলা নিয়ে ফেলেছে বিজেপি! ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত মিল্কিপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। জয়ের পর যোগী আদিত্যনাথ বলছেন, "এটা পরিবারতান্ত্রিক, বিভাজনমূলক এবং তোষণের রাজনীতির সমাপ্তির ইঙ্গিত। মিল্কিপুরের মানুষ ডবল ইঞ্জিন সরকারের সুশাসনে আস্থা রেখেছেন।"
মিল্কিপুরের উপনির্বাচনের পাশাপাশি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জয়েও উচ্ছ্বসিত যোগী। তিনি বলছেন, "গত ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে সুশাসন, নিরাপত্তা এবং পরিষেবা দিয়ে আসছে এই জয় তারই ফলশ্রুতি। দিল্লির সব জয়ী প্রার্থীকে আমার শুভেচ্ছা।" দিল্লি জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যোগীর দাবি, "দিল্লিতে নিরাশার রাজনীতি শেষ হচ্ছে। ২৫ বছরের অপশাসন দিল্লিকে পিছিয়ে দিচ্ছিল। দিল্লিবাসীকে ন্যূনতম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছিল। এবার বিজেপি মা যমুনার তীরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।"
যোগী বলছেন, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির জয় দুর্নীতি এবং প্রতারণার রাজনীতি শেষ করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ। এই সাফল্য আগামী দিনে আরও উচ্ছল এবং উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বিজেপিকে।
