আমেরিকা, জার্মানির পর এবার ধাক্কা ইউরোপীয় ইউনিয়নের, রাহুল ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ছে কেন্দ্রের

08:26 PM Apr 01, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল ইস্যুতে বিদেশি চাপ অব্যাহত। আমেরিকা, জার্মানির পর পুরো ইস্যুর দিকে নজর রাখার বার্তা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়নও (European Union)। ইউরোপের দেশগুলির সংগঠন জানিয়ে দিল, পুরো বিষয়টির দিকে তাদের নজর রয়েছে। আদালতে রাহুলের (Rahul Gandhi) মামলা কোন দিকে গড়াচ্ছে, সেটাও নজর রাখছে তারা। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

Advertisement

ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মুখপাত্র পিটার সান্টো জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর কারাদণ্ড এবং তারপর তাঁর সাংসদ পদ বাতিল, দুটো বিষয়ের দিকেই আমরা নজর রাখছি। তবে আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। যতদূর আমরা বুঝেছি, মামলাটি এখনও বিচারাধীন। আগামী দিনে কোন দিকে বিষয়টি মোড় নেয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নও অনেকটা আমেরিকার মতো অবস্থান নিচ্ছে।

[আরও পড়ুন: এবার জন্ম তারিখ নিয়ে বিতর্কে শতরূপ ঘোষ, শুভেচ্ছা কুড়োতে ব্যবহার করেন লেনিনের জন্মদিন!]

রাহুল ইস্যুতে এভাবে পরপর বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দেবে। এর আগে জার্মান সরকার আরও কড়া ভাষায় রাহুল ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করেছিল। জার্মানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিরোধীদের মৌলিক বাকস্বাধীনতার পক্ষে। জার্মান বিদেশমন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা আশা রাখি বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ক্ষেত্রেও বজায় রাখা হবে।” জার্মানির সেই বার্তার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবে।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: রুবি পর্যন্ত মেট্রোরুটে নতুন ভাড়া ঘোষণা, একনজরে দেখে নিন ভাড়ার তালিকা]

যদিও বিজেপি পরপর রাহুল ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপকে কংগ্রেসেরই ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আগেই বলে দিয়েছেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইছে কংগ্রেস।” আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju) টুইটে লিখেছেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ডেকে আনার জন্য রাহুল গান্ধীকে অনেক ধন্যবাদ। তবে মনে রাখবেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রভাব পড়বে না। বিদেশিদের হস্তক্ষেপ একেবারেই মেনে নেবে না ভারত, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদি।”

Advertisement
Next