সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হলেন প্রাক্তন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রধান সঞ্জয় কুমার মিশ্র। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁকে তাঁর আর্থিক পরামর্শদাতা পরিষদের পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ আসছে বিরোধী শিবির থেকে।

পিএম-ইএসি একটি স্বাধীন সংস্থা, যা অর্থনৈতিক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে সরকারকে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে। সাধারণত নামী অর্থনীতিবিদ বা বিশেষজ্ঞদেরই রাখা হয় ওই পরিষদে। ১৯৮৪ ব্যাচের আইএএস সঞ্জয় কুমার মিশ্র একজন অবসরপ্রাপ্ত আইআরএস অফিসার হলেও অর্থনীতিবিদ হিসাবে খ্যাতি নেই তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবির এত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কমিটিতে তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
বিরোধীদের দাবি, ইডির প্রধান হিসাবে সঞ্জয় মিশ্র যে আনুগত্য মোদির প্রতি দেখিয়েছেন, সেটার পুরস্কার হিসাবেই অবসরের পর ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে সঞ্জয় মিশ্রর এই নিয়োগকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে উদ্ধৃত করে ডেরেকের পোস্ট, 'প্রয়াত শ্রী অরুণ জেটলির উক্তিটি উদ্ধৃত করা যথার্থ। অরুণ জেটলি বলেছিলেন, বিচারপতিদের ক্ষেত্রে অবসরের পরে চাকরির লোভ অবসরের আগের রায়কে প্রভাবিত করে। ইডির প্রাক্তন ডিরেক্টরের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি।"
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ইডি-র প্রধান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে। তাঁর আমলেই ইডি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ইডির দপ্তরে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছিল তিনি প্রধান থাকাকালীন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ডি কে শিবকুমার, মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, হেমন্ত সোরেনদের বিরুদ্ধে ইডির সক্রিয়তাও শুরু হয় সঞ্জয় কুমার মিশ্র ডিরেক্টর থাকাকালীনই।