নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ভোটের দিন ঘোষণা হতেই টিকিট বণ্টন নিয়ে বিজেপির (BJP) অন্দরে ধুন্ধুমার হিমাচলপ্রদেশে (Himachal Pradesh)। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল– দুই শিবিরে কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে হিমাচল বিজেপি। দুই গোষ্ঠীই নিজেদের শিবিরের লোকেদের জন্য বেশি সংখ্যক টিকিটের দাবি করেছে।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সোমবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে হিমাচল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে আট ঘণ্টা ধরে আলোচনা হওয়ার পরেও টিকিট বণ্টন নিয়ে সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর রাতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে কোর কমিটির বৈঠক বসে। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে টিকিট বণ্টন নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: মাস্টারস্ট্রোক! মালবাজার বিপর্যয়ে উদ্ধারকারী ৭ জনকে সরকারি চাকরি, আর্থিক পুরস্কার দিলেন মমতা]
নাড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচল। সেখানে ভোটে প্রার্থী হতে টিকিট বণ্টন নিয়ে গোষ্ঠী বিবাদে অস্বস্তিতে বিজেপি। দুই বৈঠকে অন্যান্যদের সঙ্গে যেমন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ছিলেন আবার উপস্থিত ছিলেন ধুমল পুত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরও। তার মধ্যেই ধুমলের সমর্থকরা সিমলা থেকে দলবেঁধে দিল্লিতে হাজির হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সকালে কোর কমিটির বৈঠকের পরে এদিন রাতেই বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। টিকিট বণ্টনের চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়ার কথা ছিল সেখানেই। কিন্তু কোর কমিটির বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় নির্বাচন কমিটির বৈঠকটি বাতিল করতে হয়েছে এদিন। আজ, মঙ্গলবার বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে মাত্র ৬৮টি আসনে হিমাচল বিধানসভার প্রার্থী তালিকা দুই পর্যায়ে ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। টিকিট বণ্টন নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্যের চার লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হয়েছিল। ভোটের সেই বাক্স দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সমীক্ষাও চালিয়েছিল বিজেপি। তাতে বর্তমান বিধায়ক মন্ত্রীদের অনেকের বিষয়ে ভাল রিপোর্ট মেলেনি। তাই এবার ১০ জন বর্তমান বিধায়কের টিকিট বাদ যেতে পারে বলেই শোনা গিয়েছে।