সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিজন মানসিক ভারসাম্যহীন। রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। সেভাবে একদিন হাতির হামলায় প্রাণহানি হয় তাঁর। কিন্তু করোনা আবহে তাঁকে ছুঁয়েও দেখলেন না পরিজনেরা। তাই হচ্ছিল না শেষকৃত্য। বাধ্য হয়ে মৃত ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য করলেন কর্ণাটকের এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁকে ধন্য ধন্য করছেন প্রায় সকলেই।
বছর চুয়াল্লিশের ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই যেকোনও সময়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন মাইসোরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। পরিজনরা সেভাবে তাঁর খোঁজ রাখেননি। চারদিন আগে একটি হাতির হামলার শিকার হন তিনি। হাতির পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ময়নাতদন্ত করা হয় তাঁর। তবে অনেকেই ভাবেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এই আতঙ্কে তাঁর ধারে কাছে ঘেঁষতে চাননি কোনও আত্মীয়। তাই দিনের পর দিন মর্গে পড়েছিল তাঁর দেহ।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে হদিশ নেই ৯ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের]
কর্ণাটকের এক পুলিশকর্মী তাঁর শেষকৃত্য করার উদ্যোগ নেন। সেই অনুযায়ী চামারাজনগর শ্মশানে ওই ব্যক্তির দেহ নিয়ে যান তিনি। কোনও পুরোহিত ছিলেন না সেখানেই। সাধারণত হাতি হানায় মৃতদের এখানে পোড়ানো হয় না। সেই অনুযায়ী শ্মশান চত্বরে একটি বড় গর্ত তৈরি করেন তিনি। একটি সাদা কাপড়ে মুড়ে ফেলা হয় দেহ। এরপর ওই গর্তের মধ্যে দেহ রেখে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। আরও দু’জন পুলিশ কর্মী ওই আধিকারিককে সহযোগিতা করেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ধূপ। পুলিশ আধিকারিক বলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিজনেরা ওই ব্যক্তির খোঁজখবর নিত না। দাবিদাওয়াহীন দেহটি মর্গে রাখা ছিল। তাই আমি শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নিলাম।” পুলিশকর্তার এই কীর্তি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পুলিশকর্তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
[আরও পড়ুন: ‘আমি একদম সুস্থ, কোনও রোগ হয়নি’, টুইটারে স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা ওড়ালেন অমিত শাহ]
The post করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাতির হামলায় মৃতকে ছুঁল না পরিবার, শেষকৃত্য করলেন পুলিশ আধিকারিক appeared first on Sangbad Pratidin.
