সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বড়দিন। আনন্দোৎসবে মেতেছে রোমের ভ্যাটিকান সিটিও। বড়দিন উপলক্ষে বুধবার প্রথম বার্তা দিলেন চতুর্দশ পোপ লিও। আর প্রথম বার্তাতেই তাঁর মুখে শোনা গেল ‘বিকৃত অর্থনীতি’। একইসঙ্গে তিনি বিশ্বজুড়ে গরিব-দুস্থ সহায্যের বার্তাও দিয়েছে।
চতুর্দশ পোপ লিও বলেন, “বিশ্বের অর্থনীতি আজ বিকৃত। এই বিকৃত অর্থনীতি মানুষকে পণ্যে পরিণত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে পৃথিবীতে শান্তি ফেরা দরকার। তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা এমন একটি শিশুর জন্ম উদযাপন করছি, যার পরিবার হিংসার শিকার হয়েছিল। যখন আমরা শরণার্থীদের দূরে সরিয়ে দিই, যখন আমরা গৃহহীনদের উপেক্ষা করি, যখন আমরা অভিবাসীদের কষ্টকে উপেক্ষা করি, তখন আমরা স্বয়ং খ্রীষ্টকে দূরে সরিয়ে দিই।” তাঁর কথায়, “দরিদ্র-দুস্থদের উপেক্ষা করার অর্থ প্রভু যিশুকে উপেক্ষা করা।”
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসাবে কয়েকমাস আগে পোপ লিও চতুর্দশকে বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কার্ডিনালরা। ভ্যাটিকানের ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মার্কিন নাগরিক পোপের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। শিকাগোয় জন্ম নেওয়া ৬৯ বছর বয়সি এই নতুন পোপ সমাজমাধ্যমে ভীষণই সক্রিয়। তাঁর এক্স হ্যান্ডল থেকেই স্পষ্ট হয়, তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও যথেষ্ট মতপ্রকাশ করেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই তিনি মার্কিন বিদেশ সচিব জেডি ভান্সের সমালোচনামূলক একটি প্রবন্ধ পুনরায় পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডলে।
গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এল সালভাদোরকে জেলে বন্দিদের উপর অত্যাচার করে চ্যালেঞ্জ করে তিনি লেখেন, “আপনারা এই সব দেখে কষ্ট পান না? কী করে আপনারা চুপ করে থাকতে পারেন?” এছাড়াও বর্ণবিদ্বেষ, ঘৃণাবার্তার বিরুদ্ধেও বারবার সরব হয়েছেন তিনি। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের স্নেহের পাত্রও ছিলেন নতুন পোপ। পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভস্ট।
