সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শিবরাজ পাতিল। শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের লাতুরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজনীতিবিদ হিসাবে চূড়ান্ত সফল পাতিল। সাতের দশকে কংগ্রেসের বিধায়ক হিসাবে কেরিয়ার শুরু। পরে লাতুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন। সব মিলিয়ে ৭ বার লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ছাড়াও আরও একাধিক মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকারও ছিলেন। আজন্ম কংগ্রেসি শিবরাজ মিষ্টভাষী, রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য খ্যাত ছিলেন। সেভাবে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে কখনও শোনা যায়নি। নীতি আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করার জন্য পরিচিত ছিলেন।
যদিও তাঁর রাজনৈতিক কার্যকালে বিতর্ক নেহাত কম হয়নি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীনই মুম্বইয়ের বুকে ২৬/১১-র ভয়ংকর জঙ্গি হামলা ঘটে গিয়েছিল। যার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি তৎকালীন ভারত সরকার। যদিও শিবরাজ দায়বদ্ধতা দেখিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীন রাজনৈতিকভাবে 'পুনর্বাসন' দেয় শিবরাজকে। তাঁকে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল এবং চণ্ডীগড়ের প্রশাসক করা হয়। ২০১৫ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। তারপর আর রাজনৈতিক বা প্রশাসনিকভাবে সক্রিয় ছিলেন না।
শিবরাজ নিজে আজন্ম কংগ্রেস করলেও শেষদিকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তাঁকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী তাঁর পুত্রবধূ বিজেপিতেও যোগ দেন। তবে সার্বিকভাবে দলমত নির্বিশেষে গ্রহণযোগ্যতা ছিল তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে।
