সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওজন কমানো ও সুস্থ থাকা কঠিন কোনও বিষয় নয়, বরং অত্যন্ত সহজ। কোনও রকম অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ছাড়াই ওজন কমানো সহজ টিপস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 'ওয়ার্ল্ড লিভার ডে' উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি তুলে ধরলেন ৫ বছর আগের সংগ্রামের কথা। ২০১৮ সালে ২০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেই অসাধ্য সাধন হয়েছিল, শুধুমাত্র দৈনিক জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে।
শনিবার দিল্লির 'লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্স ইন্সটিটিউট'-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, "২০২০ সালের মে মাস থেকে আজ পর্যন্ত, আমি আমার জীবনে বিরাট পরিবর্তন এনেছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, জল পান এবং খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি সম্পূর্ণরূপে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এবং ইনসুলিন মুক্ত হয়ে।" একইসঙ্গে বলেন, "দেশের যুবসমাজকে আরও ৪০-৫০ বছর বেঁচে থাকতে হবে, দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে হবে। ফলে তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ তাঁরা যেন তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে দিনে দুই ঘণ্টা ব্যায়াম ও ৬ ঘণ্টা ঘুম এই রুটিন মেনে চলেন। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সুস্থ থাকার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।"
২০১৪ ও ২০১৮ সালে অমিত শাহের দুই ছবি।
বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এক ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রিপোর্ট বলছে ভবিষ্যতে এই রোগ মহামারির আকার নেবে। ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি হবে। আর এই রোগের প্রধান কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)কে গত বছর অসংক্রামক রোগ হিসেবে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজের উদাহরণ তুলে ধরে সুস্থ থাকার বার্তা দিলেন শাহ।
২০১৮ সালের এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে অমিত শাহের যে ওজন ছিল ২০১৮ সালে তার চেয়ে ২০ কেজি ওজন কমান তিনি। সেই সাফল্যের রহস্য সকলের সামনেও এনেছিলেন। নিজের ডায়েট তুলে ধরে শাহ জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন হাঁটা, খাদ্যে চিনির ভাগ কমানো, রাতের খাবার খেতে বেশি রাত না করা, স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ এবং আমলকি ও গুলঞ্চ লতার রস।
