সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণ যাওয়ার পর কেটেছে দিন দশেক। গোয়ার সেই 'অভিশপ্ত' নাইটক্লাবের দুই মালিক গৌরব এবং সৌরভ লুথরাকে থাইল্যান্ড থেকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে। আগেই তাঁদের থাইল্যান্ডে আটক হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল।
'বার্চ বাই রোমিও লেন' নামের ওই নাইটক্লাবে আগুন লাগে পার্টি চলাকালীন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। তদন্ত শুরু হতেই জানা যায়, এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক অনিয়ম। বেআইনি নির্মাণ, সংকীর্ণ এবং অপর্যাপ্ত প্রবেশপথ-সহ ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে। এদিকে দেখা যায়, নাইটক্লাবের দুই মালিক চলে গিয়েছেন থাইল্যান্ডে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আগুন লাগার একঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দুই ভাই থাইল্যান্ডের টিকিট কেটেছিলেন। অর্থাৎ দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে, এই পরিস্থিতিতেই তাঁরা গাঢাকা দেন। তবে তাঁর আইনজীবীরা অবশ্য দাবি করেছিলেন আগে থেকেই থাইল্যান্ড সফরের পরিকল্পনা ছিল দুই ভাইয়ের।
তাঁদের নাগাল পেতে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। এদিকে লুথরাদের আইনজীবী দাবি করেন, রক্ষাকবচ পেলেই দেশে ফিরবেন দুই ভাই। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এরপর আটক হন তাঁরা। এবার তাঁদের ফেরানো হচ্ছে দেশে। মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ তাঁদের দেশে ফেরার কথা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, তাঁদের বিমানে ওঠার কথা জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, হোটেল ব্যবসায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে বড় কর্পোরেট জালিয়াতির অভিযোগও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, উত্তর দিল্লিতে একই ঠিকানায় কমপক্ষে ৪২টি কোম্পানির নাম নথিভুক্ত রয়েছে। আরও অভিযোগ, এই ৪২ সংস্থার মধ্যে বেশিরভাগের অস্তিত্বই শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। নথির বাইরে এর কোনও অস্তিত্ব নেই। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ঘিরেও প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে দিনের পর দিন এই নাইটক্লাব রমরমিয়ে চলল! কেনই ক্লাবটির বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
