সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নেহরু নিয়ে সংঘাতে কংগ্রেস এবং বিজেপি। এবার সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর লেখা কিছু চিঠি। যা কিনা এই মুহূর্তে সোনিয়া গান্ধীর জিম্মায় রয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, সেগুলি গান্ধীর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। আবার কেন্দ্র বলছে, এটা গোপন সম্পত্তি নয়। ওই চিঠিগুলি তুলে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহশালায়।
ইউপিএ জমানায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার থেকে জওহরলাল নেহরুর অসংখ্য চিঠিপত্র নিয়ে যান বলে গত বছর বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল। সে সময় সোনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধি হিসাবে এমভি রাজন প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারকে অনুরোধ করেন, নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠিপত্রগুলি যেন গান্ধী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই মতো চিঠিগুলি সোনিয়াকে দেওয়াও হয়েছিল। ওই সব চিঠির মধ্যে নেহরুর সঙ্গে জয়প্রকাশ নারায়ণ, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, অরুণা আসফ আলি, বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিত, জগজীবন রামের মতো ব্যক্তিত্বদের কথোপকথন রয়েছে। সেগুলির মধ্যে এডুইনা মাউন্টব্যাটেনের চিঠিপত্রও ছিল বলে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন।
সম্প্রতি বিজেপি অভিযোগ করেছে, দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার থেকে জওহরলাল নেহরুর অসংখ্য চিঠিপত্র 'নিখোঁজ' হয়ে গিয়েছে। যে কারণে কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক বুধবার জানিয়েছে, প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কোনও চিঠিই নিখোঁজ হয়নি। চিঠিগুলি সংগ্রহশালায় নেই ঠিকই, কিন্তু সেগুলির ঠিকানা কেন্দ্র জানে। তাই এটিকে নিখোঁজ বলা যাচ্ছে না। ওই চিঠিগুলি রয়েছে সোনিয়া গান্ধীর কাছে। চিঠিগুলি ফেরত চেয়ে দু'বার সোনিয়াকে চিঠিও লেখা হয়েছে। কিন্তু এখনও চিঠিগুলি ফেরত দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, সোনিয়া ওই চিঠি পাওয়ার পর জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁর প্রতিনিধিরা কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করা হবে। কিন্তু চিঠিগুলি এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। সোনিয়ার সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্যও করেনি।
এসবের মধ্যেই বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত সরাসরি নিশানা করেছেন সোনিয়াকে। তিনি বলছেন, "কী লুকোনো হচ্ছে? নেহরুর ওই চিঠিগুলি কেন প্রকাশ্যে আনা হবে না? গোটা দেশ জানতে চাইছে। যে অজুহাত সোনিয়া গান্ধী দিচ্ছেন, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথম প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না।"
