সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আশ্চর্য ভাতের গন্ধ রাত্রির আকাশে’। লিখেছিলেন কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তেতাল্লিশের মন্বন্তর নিয়ে এই পঙক্তি লেখা হলেও আজও তা সমান প্রাসঙ্গিক। দু’মুঠো ভাতের প্রার্থনায় আজও দিন গুজরান দেশের বহু মানুষের। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিল, দেশের সব মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কেউ যেন খালি পেটে না থাকেন তা কেন্দ্রকেই নিশ্চিত করতে হবে।
কোভিড অতিমারীর সময় দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ এমনই কথা জানিয়েছে। বিচারপতিদের বেঞ্চের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রের কর্তব্য জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন মেনে দেশের শেষ মানুষটির কাছেও খাদ্যের দানা পৌঁছে দেওয়া। কেন্দ্র কিছু করছে না, এমন দাবি আমরা করছি না। কোভিডকালে দেশের সরকার সমস্ত মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু আমরা চাই এই বিষয়টা ক্রমান্বয়ে চলতেই থাকুক। কেননা কোনও মানুষ যেন খালি পেটে না শুতে যায় রাতে, এটা নিশ্চিত করাই তো আমাদের সংস্কৃতি।’
[আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট বৃদ্ধি রিজার্ভ ব্যাংকের, সমস্ত ঋণেই বাড়তে পারে EMI]
ওই মামলা দায়ের করেছিলেন তিন সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মান্দার ও জগদীপ ছোকর। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র বলছে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয়দের রোজগার বাড়ছে। অথচ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দেশ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। সেই মামলাতেই এই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। আগামী ৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Hunger Index) শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের (Pakistan) চেয়েও নিচে অবস্থান ভারতের! দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র তালিবান শাসিত আফগানিস্তান রয়েছে ভারতের নিচে। ২০২১ সালের তুলনায় তালিকায় আরও নিচে নেমে গিয়েছে নয়াদিল্লি। গতবারের ১০১ নম্বর অবস্থান থেকে নেমে ভারত এখন ১২১টি দেশের মধ্যে ১০৭ নম্বরে।