সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুনের দায় থেকে মুক্তি দিয়ে কারাদণ্ড বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল জেল আধিকারিকদের কাছেও। কিন্তু ইমেলের সঙ্গে থাকা নির্দেশিকার কপি দেখতে পেল না জেল কর্তৃপক্ষ। ফলে আরও তিন বছর জেলের অন্ধকারেই কাটাতে হল এক ব্যক্তিকে। আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও মুক্তি পেলেন না তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) একটি জেলে।
চন্দনজি টাকোর নামে ওই ২৭ বছরের ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মামলা চলাকালীন দুবছর জেলবন্দি ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে আদালত। জেল থেকে চন্দনজিকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। আধিকারিকদের কাছেও এই নির্দেশের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ইমেল থেকে সেই নির্দেশের কপি ডাউনলোড না হওয়ায় দেখতে পাননি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: কাবেরী নিয়ে এবার ‘সুপ্রিম’ লড়াই! জল না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় কর্নাটক]
২০২০ সালে জেলমুক্তির নির্দেশ পেলেও আধিকারিকদের দোষে আরও তিন বছর কারাগারেই আটকে থাকতে হয় চন্দনজিকে। এই বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের হয় গুজরাট হাই কোর্টে। শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, সরকারের গাফিলতিতেই জীবনের মূল্যবান তিন বছর কারাগারে আটকে ছিলেন ওই ব্যক্তি। তার জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণও দিতে হবে সরকারকে।
মামলার রায়ে গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court) জানিয়েছে, “মুক্তি পেলে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারতেন ওই আবেদনকারী। কিন্তু জেলে থাকতে বাধ্য হন তিনি। তার সমস্ত দায় জেল আধিকারিকদেরই। ২৭ বছর বয়সি আবেদনকারীর জীবনে তিনটি বছর জেলে কেটে গিয়েছে, তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, চন্দনজিকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।