সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দিলেন অখিলা ওরফে হাদিয়ার বাবা কে এম অশোকান। ২০১৬ সালে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক যুবককে বিয়ে করেন তাঁর মেয়ে অখিলা। তারপরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হাদিয়া নাম নেন তিনি। এই ঘটনার পরই লাভ জেহাদের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন অশোকান। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কেরলের ওই ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয় দেশজুড়ে।
[‘আমাকে ধর্ষণের পর ধর্মান্তরিত করা হয়’, আদালতকে জানাল বধূ]
উল্লেখ্য, কেরলের ভাইকুম শহরের বাসিন্দা বছর চব্বিশের যুবতী হাদিয়া। জন্মসূত্রে তিনি হিন্দু। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল অখিলা। কলেজে পড়াকালীন ভালবেসে শফিন জাহান নামে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর নিজের ধর্মও পালটে ফেলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর, ওই যুবতীর নাম হয় হাদিয়া। বিষয়টি জানতে পেরেই আদালতের দ্বারস্থ হন হাদিয়ার পরিবারের লোকেরা। তাঁর বাবা কে এম অশোকান অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে লাভ জেহাদের শিকার। বিয়ের ফাঁদে ফেলে ওই যুবতীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছেন শফিন জাহান। কেরল হাই কোর্টে এই বিয়ে বাতিল করে দেওয়ার আরজি জানান হাদিয়ার বাবা। তারপরই এই মামলায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৭ সালে এনআইএ রিপোর্টের ভিত্তিতে হাদিয়া ও শফিনের বিয়ে বাতিল করে দেয় কেরল হাই কোর্ট। কেরল হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন হাদিয়ার স্বামী শফিন জাহান।
মামলা চলাকালীন হাদিয়া শীর্ষ আদালতকে জানান, তাঁর উপর কোনও চাপ ছিল না। নিজের ইচ্ছায় শফিন জাহানকে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যকে মান্যতা দিয়েই শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা যদি বলেন তিনি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন, তাহলে সেই বিয়ে নিয়ে তদন্ত করতে পারে না এনআইএ। এমনকী, হাদিয়ার বিয়ে নিয়ে যে আদালতেরও কিছুই করার নেই, তাও মেনে নেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এনআইএ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, হাদিয়ার বিয়েটা সম্ভবত লাভ জেহাদ। কেরলের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের অভিযোগ, হিন্দু যুবতীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছেন মুসলিম যুবকরা। বিয়ের পর তাঁদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাই লাভ জেহাদ নামে পরিচিত।
[১০ ইঞ্চির পুরুষাঙ্গে বিপাকে ডাকাত সর্দার, বাঙুরে শাপমুক্তি]
The post কেরল লাভ জেহাদ: বিজেপিতে যোগদান হাদিয়ার বাবার appeared first on Sangbad Pratidin.
