সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামে রাস্তায় নমাজ পড়া নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। এবার প্রকাশ্যে রাস্তা আটকে নমাজ (Namaz) পড়া সহ্য করা হবে না বলে স্পষ্ট সুরে জানালেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar)। তাঁর মতে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রার্থনা করাই শ্রেয়। খোলা জায়গায় তা করা উচিত নয়।
গুরুগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে নমাজ পড়ার সময় বিক্ষোভ দেখানোর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”এখানে খোলা জায়গায় নমাজ পড়তে দেওয়া হবে না। তবে আমরা অবশ্যই এই সমস্যার একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান করব। প্রার্থনা করার অধিকার সকলেরই রয়েছে। কিন্তু তা যেন অন্য কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে।”
[আরও পড়ুন: Puri Jagannath Temple: চলতি বছরের শেষে ৩ দিন বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির, ঘোষণা কর্তৃপক্ষের]
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে এই একই বিষয় নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় ২৯টি স্থানকে (ভিন্নমতে ৩৭) নমাজ পড়ার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। গুরগাঁও প্রশাসনের তরফে এর মধ্যে ৮টি স্থানের উপর থেকে নমাজের অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু এখনও বেশ কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে নমাজ পড়ার প্রশাসনিক অনুমতি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন খাট্টার বলেছেন, ”পুলিশ ও ডেপুটি কমিশনারকে বিষয়টির সমাধান করতে বলা হয়েছে। তবে সবাই একটা জায়গায় এসে নমাজ পড়ে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”
সাম্প্রতিক অতীতের বিক্ষোভ সম্পর্কে তাঁর মত, ”খোলা জায়গায় নমাজ পড়া বন্ধ করতে পারলে এই ধরনের সংঘর্ষকে এড়ানো সম্ভব। আমরা এই ধরনের সংঘর্ষ চলতে দেব না।”
গুরুগ্রামে বছর তিনেক আগে খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে অশান্তি হলেও নির্দিষ্ট কিছু স্থানকে বেঁধে দেওয়ার পরে সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে ফের নমাজ পড়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছিল বিক্ষোভের নানা ভিডিও ফুটেজ। সেখানে দেখা গিয়েছে তাদের “বন্ধ করো, বন্ধ করো” স্লোগান দিতে। তাদের হাতে ছিল নানা রকম পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড। এবার এই প্রসঙ্গে পদক্ষেপ করতে চলেছে হরিয়ানা সরকার।