সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে রাত কাটানোর পর, সকালে প্রেমিকের হাতেই খুন হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী হিমানি নারওয়াল! এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশের তরফে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এল দেহ লোপাটের রোমহর্ষক সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে হত্যার পর হিমানির দেহ কালো ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত শচীন। পুলিশের দাবি, যে ট্রলিব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, গত শনিবার এই ব্যাগ থেকেই উদ্ধার হয় হিমানির দেহ।

হিমানি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই শচীন নামে এক যুবককে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, সোশাল মিডিয়ার দৌলতে হিমানির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় শচীনের। যা পরে প্রেমের রূপ নেয়। হিমানির যেখানে একা থাকতেন সেই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শচীনের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতেও শচীন হিমানির সঙ্গে ছিলেন। পরদিন সকালে তীব্র বচসা হয় দুজনের। যার জেরেই এক সময় হিমানিকে ওড়না দিয়ে বেঁধে মোবাইলের চার্জারের তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে শচিন।
পুলিশের আরও দাবি, হত্যার পর প্রমাণ লোপাট করতে হিমানির মৃতদেহ ওই ট্রলিব্যাগে ঢোকায়। এরপর হিমানির গয়না, মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ অন্যান্য দাবি জিনিস নিয়ে স্কুটিতে করে বাহাদুরগড়ে নিজের বাড়িতে যায়। পরে রাত ১০টা নাগাদ আবার হিমানির বাড়িতে এসে একটি অটো ভাড়া নিয়ে ট্রলি-সহ দেহ ফেলে আসে। কালো রঙের সেই ট্রলিব্যাগ নিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ। তবে শচিনের দাবি, হিমানি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিল। যার জেরে একরকম বাধ্য হয়ে এই ঘটনা ঘটায় সে। তবে এই তত্ত্ব পুরোপুরি মানতে নারাজ পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার রোহতকের বাসস্ট্যান্ডের ধারে পরিত্যক্ত নীল স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হয় ২২ বছরের হিমানি নারওয়ালের মৃতদেহ। ওই তরুণীর হাতে ছিল মেহেন্দি, গলায় স্কার্ফ। তাঁর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় খোদ রাহুল গান্ধীর হাত ধরে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল হরিয়ানা কংগ্রেসের দাপুটে নেত্রী হিমানিকে। জনপ্রিয় কংগ্রেস নেত্রীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাড়া পড়ে যায় দেশে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, দলের কেউ খুন করেছে হিমানিকে। তবে এই হত্যাকাণ্ডে কোনও রাজনৈতিক যোগের তত্ত্ব অস্বীকার করেছে পুলিশ।