সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দুর্যোগের কালো মেঘ জমতে শুরু করল কেরলের আকাশে৷ গত দু’দিন বন্যা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেও নতুন করে বাঁধ সেধেছে নয়া নিম্নচাপ৷ সোমবার থেকে ফের কোঝিকোড় এবং কান্নুরে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ ফলে, সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷
[বাজপেয়ীর শেষকৃত্যে পাক প্রতিনিধিদলে হেডলির ভাই, ক্ষুব্ধ সাউথ ব্লক]
কোঝিকোড় এবং কান্নুর বাদে কেরলের বাকি অংশে অবশ্য আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টির দাপট কমবে৷ অন্তত তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷ তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এখনই চূড়ান্ত সতর্কতা তুলে নিতে নারাজ কেরল সরকার৷ কোঝিকোড় ও কান্নুরে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের৷ এই দুই এলাকার উপর বাড়তি নজরদারিও শুরু হয়েছে৷ এদিকে গত কয়েকদিনের তুলনা বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে৷ ধীর গতিতে হলেও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে জল নামছে৷
[দেশে ফেরানো হোক বাবার চিতাভস্ম, কেন্দ্রের কাছে আবেদন নেতাজি-কন্যার]
সরকারি হিসেব বলছে, কেরলে বন্যা আর ধসের কারণে ঘর ছাড়তে হয়েছে, এমনই মানুষের সংখ্যা ছয় লাখের কাছাকাছি৷ সর্বস্ব হারিয়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা৷ বন্যা দুর্গতদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি৷ এখনও কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি বলে জানা গিয়েছে৷ ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এনকুলাম, তিরুমালা, ইদুক্কির ও আলাপুড়া বেশ কিছু এলাকার অবস্থা ভয়াবহ৷ পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারীরাও৷ খাবার তো দূর অস্ত, পানীয় জল পর্যন্ত নেই ৷ জানা গিয়েছে, দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ৩৭৫৭টি মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে৷ তিন হাজারেরও বেশি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে৷ জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রুখতে কেরল জোরকদমে চলছে ওষুধ বিলির কাজও৷