সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগাল্যান্ডে (Nagaland) ভোটের (Assembly Election) মুখে বিতর্কিত ‘আফস্পা’ প্রত্যাহার নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তিনি দাবি করলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই আইন তুলে নেওয়া হবে। নাগাল্যান্ডে ভোটপ্রচারে গিয়ে এই আশ্বাস দিলেন শাহ। যদিও বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ঘোষণা স্থানীয় ভোটারদের কতখানি খুশি করতে পারবে তা নিয়ে শংসয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মঙ্গলবার নাগাল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর তুয়েনসাং-এ এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন অমিত শাহ। সেখানেই জানান, আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে সমগ্র নাগাল্যান্ড থেকে সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বা আফস্পা (AFSPA) প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদী তিনি। এছাড়াও ভোটের পর পূর্ব নাগাল্যান্ডের উন্নয়ন এবং অধিকার সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট’, বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিস্ফোরক জয়শংকর]
এদিন তুয়েনসাং-এর সভায় শাহ দাবি করেন, স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে বিজেপির জোট সরকারের শাসনে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা কমে গিয়েছে। এই বিষয়ে পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গেরুয়া শাসনে হিংসার ঘটনা ৭০ শতাংশ কমেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু ৬০ শতাংশ কমেছে। এইসঙ্গে অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ৮৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। শাহ আরও দাবি করেন, নাগাল্যান্ডে শান্তি স্থাপনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘নাগা শান্তি আলোচনা’ চালাচ্ছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ফের নৃশংস মাওবাদী হামলা, গলা কেটে হত্যা পুলিশকর্মীকে!]
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আফস্পা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের।মাঝে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় আধা সেনার গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় তীব্র বিতর্ক হয়। স্বভাবতই স্থানীয়রা চান কঠোর আইন আফস্পা প্রত্যাহার হোক। ২০২২ সালের এপ্রিলে অসম, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করেছে মোদি সরকার। প্রশ্ন হল, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে আফস্পা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অমিত শাহর ঘোষণা বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ তেমনটা মনে করছেন না। কারণ চার বছর অনেকটা সময়। দ্রুত এই আইন প্রত্যাহার হোক চায় স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডের ৬০ বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ।