সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের বিজেপি-রাজের (BJP) অবসান ঘটিয়ে দিল্লি পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল আম আদমি পার্টি (AAP)। কিন্তু দিল্লি মেয়র নির্বাচনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলল আপ। আর এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এমসিডি সিভিক সেন্টার। সংঘর্ষে লিপ্ত হলেন বিজেপি ও আপ কর্মীরা। চলল হাতাহাতিও। শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় মেয়র বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া থমকে গেল। আপাতত পরবর্তী নোটিস পর্যন্ত তা শুরু করা যাবে না।
ঠিক কী হয়েছিল? লেফটেন্যান্ট গভর্নর, যিনি দিল্লিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আপ অভিযোগ তোলে ইচ্ছে করে তিনি বিজেপির ১০ জনকেই মনোনীত করছেন। কেবল তাই নয়, তিনি বিজেপি কাউন্সিলর সত্যেন শর্মাকে অস্থায়ী স্পিকারের পদে নির্বাচনও করেন। আর তা নিয়েই শুক্রবারের বচসা চরমে ওঠে। আপের দাবি ছিল, তাদের দলের মুকেশ গয়ালই সবচেয়ে বর্ষীয়ান কাউন্সিলর। তাই তাঁকেই অস্থায়ী স্পিকার করা হোক।
আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের দাবি, ”এটাই রীতি যে, সবচেয়ে সিনিয়র যিনি থাকবেন কক্ষে, তাঁকেই মনোনীত করতে অন্তর্বর্তী স্পিকার হিসেবে। কিন্তু বিজেপি সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রথাকে ধ্বংস করতে চাইছে।”
[আরও পড়ুন: প্রবল শীতে কাঁপছে বাংলাদেশ, এক সপ্তাহে মৃত্যুর কবলে ১৫ শিশু]
এদিকে বিজেপির পালটা দাবি, তারা মেয়রের পদটিতে জিততে পারে, নির্বাচনে হেরেও। এটা বুঝতে পেরেই আপ নিজেদের কাউন্সিলরদের উপরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির দাবি, ”যা হচ্ছে, সব কিছুই সংবিধান মেনে হচ্ছে। কিন্তু ওরা বাহানা দেখাচ্ছে। কেননা ওরা জানে ওদের নৈতিক পরাজয় হয়েই গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে ১৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। বিজেপি (BJP) পেয়েছে ১০৪টি আসন। কিন্তু তবুও দিল্লি পুর নিগমের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই থাকবে তো? এই নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয়ে কেজরিওয়ালের দলই। আশঙ্কা, ‘চণ্ডীগড় মডেল’ অনুসরণ করে দিল্লি পুরসভাতেও শেষ পর্যন্ত রাশ নিজেদের হাতেই রাখতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে এবার আপ-বিজেপির সংঘাত চরমে পৌঁছে গেল।