সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুন্দরী 'দেশদ্রোহী' জ্যোতি মালহোত্রা। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোলের মাঝেই মেয়ের সপক্ষে মুখ খুললেন জ্যোতির বাবা হরিশ মালহোত্রা। তাঁর দাবি, পাকিস্তানে যদি বন্ধু থাকে তবে ফোন করলে দোষের কী? পাশাপাশি পুলিশ যে ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তা ফেরত চাইলেন হরিশ।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হরিয়ানার জ্যোতি-সহ আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পাক যোগের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়ের সপক্ষে জ্যোতির বাবা হরিশ বলেন, "নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তুলতে ও প্রায় পাকিস্তান-সহ অন্যান্য জায়গায় যেত।" তবে গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও হরিশ বলেন, "যদি ওখানে তাঁর বন্ধু থাকে, তবে ও তাঁদের ফোন করতে পারবে না? আমার কোনও দাবি নেই। কিন্তু আমাদের যে ফোনগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে তা ফেরত দেওয়া হোক।"
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে গুপ্তচরবৃত্তির আড়ালে ভারত থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্চিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্ক তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই দানিশেরই ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে যায় জ্যোতি। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিও করে সে। সেই ভিডিওটি দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।
পরে তাঁর প্রোফাইল খুটিয়ে দেখা যায়, একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েছে জো। ট্রাভেল ভিডিও বানানোর নামে পাকিস্তান গিয়ে জো একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করে। তাদের মধ্যে শাকির আর রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে জ্যোতির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পাক দূতাবাসের সদস্য দানিশ তো ছিলই। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করে জ্যোতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি জ্যোতি ও আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
