সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই গদি হারিয়েছেন। আর তাতেই চূড়ান্ত হতাশ জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি এতটাই হতাশ যে রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বসলেন। নিজেই স্বীকার করলেন, তিনি ‘অ্যাক্সিডেন্টাল চিফ মিনিস্টার।’ মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাতেই সন্তুষ্ট। এবার রাজনীতি ছাড়তে চান।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে ‘দুরবস্থা’র জের, মোদিকে তীব্র আক্রমণ রাহুলের]
১৪ মাস আগে খানিকটা দুর্ঘটনাবশতই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন কুমারস্বামী। তিনটি বড় দলের মধ্যে তাঁর দল জেডিএসের বিধায়ক সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে কম। কিন্তু, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে কংগ্রেস প্রায় দ্বিগুণ আসন থাকা সত্ত্বেও সরকার গড়তে জেডিএসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয়। কুমারস্বামীকে জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু, অন্যের ক্ষমতাবলে পাওয় মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ছিল কণ্টকময়।
কংগ্রেস-জেডিএসের ১৪ মাসের দাম্পত্য সুখের হয়নি মোটেই। একদিকে ছিল বিজেপির সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতাদের গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দেওয়ার দায়। এর মধ্যে দুই শিবিরের মধ্যে খেয়োখেয়িও কম হয়নি। অপ্রিয় দাম্পত্যের মতোই দুই শিবিরের কোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, শরিকি চাপে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে তাঁরা। প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে কাঁদতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। শেষমেশ এমাসের গোড়ার দিকেই কুমারস্বামীকে ক্ষমতাচ্যুত করে কর্ণাটকের গদিতে বসেছেন ইয়েদুরাপ্পা। ক্ষমতা হারানোর পর আরও হতাশ হয়ে পড়েছেন কুমারস্বামী। ঘনিষ্ঠ মহলে তো বটেই প্রকাশ্যেই তিনি বলছেন রাজনীতি ছাড়ার কথা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগ, হরিয়ানা থেকে ধৃত ৩ যুবক]
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুমারাস্বামী বলেন, “আমি লক্ষ্য করছি আজকাল রাজনীতি যেদিকে যাচ্ছে সেটা আর ভাল মানুষের বিষয় নেই। পুরোটাই জাতপাতের উপর চলছে। আমি আর পারছি না। আমাকে রাজনীতি করতেই হবে এমন কোনও মানে নেই। আমি মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চাই। এখন রাজনীতি থেকে দূরে চলে যাওয়ার কথা ভাবছি। আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম দুর্ঘটনাবশত। আমাকে ঈশ্বর দু’বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। ১৪ মাস ক্ষমতায় ছিলাম। মানুষের সেবা করেছি। এতেই আমি সন্তুষ্ট। “
The post ক্ষমতা হারানোর হতাশা, রাজনীতি ছাড়ছেন ‘অ্যাক্সিডেন্টাল চিফ মিনিস্টার’ কুমারস্বামী! appeared first on Sangbad Pratidin.