সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) হারে অগ্রগতি হবে। কোভিড (Covid) পরবর্তী সময়ে সামগ্রিক উন্নতির কথা ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও খারাপ খবর দিল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। মঙ্গলবার তারা জানাল, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ হবে। যদিও গত জুলাই মাসে আইএমএফের পূর্বাভাস ছিল, ৭.৪ শতাংশ হতে পারে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি। তবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এই বৃদ্ধি খারাপ নয় বলে মনে করছে IMF-এর অর্থ বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গতকালই কমিটমেন্ট রিডিউসিং ইনইকুয়ালিটি ইনডেক্স (Commitment to Reducing Inequality Index) রিপোর্ট জানিয়েছে, ভারতে আর্থসামাজিক বৈষম্য প্রকট। বৈষম্যের (Inequality Index) তালিকায় ১৬১টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২৩। এবার আর্থিক বৃদ্ধি নিয়েও মন্দ খবর এল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। এদিন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৮ শতাংশ। জুলাইয়ের পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৬ শতাংশ কম।
[আরও পড়ুন: ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল WHO, সেই সংস্থা বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের]
এইসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির খতিয়ানও দিয়েছে। জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.০ শতাংশ, ২০২২ সালে তা ৩.২ শতাংশে নেমে যায়। ২০২৩ সালে তা আরও কমে ২.৭ শতাংশে নেমে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট, কোভিড মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির উপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে। যদিও মোদি সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির অগ্রগতি ঘটবে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খোলা বাজারে বিয়ার বিক্রির অনুমতি, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সরব বিজেপি]
তবে IMF-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন যুক্তি দেন, গোটা বিশ্বেই মন্দা, কোভিড, লকডাউন, যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। তার প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়াটাও স্বাভাবিক। ফলে আর্থিক বৃদ্ধি রুদ্ধ হয়ে পড়ছে ভারত-সহ সমস্ত দেশে। CRII জানাচ্ছে, সরকারি বরাদ্দের মেধাবী কৌশল কমতে পারে দেশের আর্থসামাজিক বৈষম্য। মোদির ভারতে যা হয়ে উঠছে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। CRII রিপোর্ট অনুযায়ী প্রগতিশীল কর ব্যবস্থার নিরিখে তিন ধাপ এগিয়ে ১৬ নম্বরে স্থান হয়েছে ভারতের। শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরির তালিকায় ৭৩ তম স্থান হয়েছে দেশের।