shono
Advertisement

Breaking News

Independence Day: লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে Kashmir নিয়ে বড় ঘোষণা PM Modi’র

অসম-মিজোরামের অশান্তির মধ্যেই মোদির দাবি, 'উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি বিরাজ করছে।'
Posted: 10:10 AM Aug 15, 2021Updated: 10:10 AM Aug 15, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিলের দুবছরেরও বেশি সময় পর কাশ্মীরে (Kashmir) ফিরছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ নির্বাচন। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলকে নিজের সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত হিসাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, এর ফলে কাশ্মীর এবং লাদাখ (Ladakh) দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই শান্তি এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলেছে। মোদির ঘোষণা, কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন হয়েছে। শুরু হয়েছে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। এই কাজ শেষ হলেই দ্রুত নির্বাচন হবে। লাদাখও উন্নয়নের পথে দ্রুত এগোচ্ছে। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে কিছুদিন আগেই কাশ্মীরের ৮টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের ১৪ জন প্রথম সারির নেতাকে নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ এবং ওমর আবদুল্লাহ, PDP’র মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ-সহ কাশ্মীরের তাবড় শীর্ষনেতারা। কাশ্মীরি নেতাদের দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাশ্মীরে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত এবং দ্রুত উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস। এ সবই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) করেছেন কোনওরকম বাহ্যিক চাপ ছাড়াই। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এবং সহযোগিতাপূর্ণ বাতাবরণে। প্রধানমন্ত্রী কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য বাহ্যিক চাপ ছাড়াই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন, গত সাত বছরে এমন উদাহরণ একেবারে বিরল। আর কাশ্মীরের মতো ইস্যু নিয়ে সম্ভবত এই প্রথম। তারপরই লালকেল্লায় (Red Fort) দাঁড়িয়ে যেভাবে দ্রুত নির্বাচনের কথা ঘোষণা করলেন, তাতেই উপত্যকার দলগুলি আশা দেখছে, দ্রুতই হয়তো কাশ্মীরে গণতন্ত্র ফিরবে।

[আরও পড়ুন: Independence Day: আগামী ২৫ বছর ভারতের জন্য ‘অমৃতকাল’, টার্গেট বেঁধে দিলেন PM Modi]

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে মোদি ঘোষণা করেছেন, ভারত সরকারের লুক ইস্ট (Look East) নীতি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ফলশ্রুতিতে আজ উত্তর-পূর্ব ভারত শান্ত। এবং উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের তেমন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, কিছুদিন আগেই ভারতেরই দুই অঙ্গরাজ্য মিজোরাম এবং অসমের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিবাদে ৬ পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। যা গত কয়েক দশকে বেনজির। অসম এবং মিজোরামের মধ্যেকার সেই অশান্তি এখনও মেটেনি। তা সত্ত্বেও উত্তরপূর্বে শান্তির দাবি কীভাবে করলেন প্রধানমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement