সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ক্রমশ পারদ চড়েছে দুই দেশের সম্পর্কের। কার্যতই তৈরি হয়েছে যুদ্ধের আবহ। এই পরিস্থিতিতে এবার ইসলামাবাদকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করে ফেলল নয়াদিল্লি। পাকিস্তান থেকে এবং সেদেশের মাধ্যমে কোনওরকম পণ্য আমদানিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল মোদি সরকার। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনই ঘোষণা করেছে বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "পাকিস্তানে উৎপন্ন বা রপ্তানি করা সমস্ত পণ্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আমদানি বা পরিবহন, তা অবাধে আমদানিযোগ্য হোক বা অনুমোদনসাপেক্ষ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে নিষিদ্ধ করা হল। জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার যে কোনও ব্যতিক্রমের জন্য ভারত সরকারের থেকে পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন।" ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্ত বন্দরও।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হওয়া জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৫ জনের। এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের যোগসূত্র মিলেছে। হামলাকারীদের মধ্যে দু'জন পাকিস্তানি বলেও দাবি। হামলার নেপথ্যে হাফিজ সইদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। এমতাবস্থায় দুই দেশের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগেই পাক সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্তরকম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তাতেও বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদই। এমনিতে পাকিস্তান একাধিক ক্ষেত্রে ভারতের পণ্যের উপর নির্ভরশীল। তবে বাণিজ্য বন্ধের জেরে পাক বাজারে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার সংকট সবচেয়ে বেশি রয়েছে তা হল ওষুধ। ভারতের বাজার থেকে কাঁচামাল না গেলে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যেতে পারে বহু পাকিস্তানির। সংকট বুঝে তড়িঘড়ি দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাক সরকারের আধিকারিকরা। এর মধ্যেই ভারতের তরফে এই ঘোষণায় আরও বিপদ বাড়ল পাকিস্তানের।
এখানেই শেষ নয়, বহুজাতিক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্কগুলির কাছে ভারতের আর্জি যেন পাকিস্তানকে ঋণ না দেওয়া হয়। সন্ত্রাসে মদত দেয় ইসলামাবাদ- এই অভিযোগ তুলেই আর্জি জানাচ্ছে নয়াদিল্লি।
