সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনজিরভাবে এনডিএর আগেই বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল বিজেপি বিরোধী মহাজোট বা ইন্ডিয়া জোট। লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই যে মহাজোট নির্বাচনে লড়তে চলেছে সে নিয়ে যাবতীয় সংশয়ও একপ্রকার দূর হয়ে গেল। বিহারের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোট যে সমন্বয় কমিটি গড়ল, সেই জোটের নেতৃত্বে রাখা হল তেজস্বীকেই।
শুক্রবার পাটনায় মহাজোটের সহযোগীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তেজস্বী। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল আরজেডি, কংগ্রেস, তিন বাম দল এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি। ওই বৈঠকে নির্বাচনকে সামনে রেখে যে সমন্বয় কমিটি মহাজোটের তরফে গড়া হয়েছে, সেই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে তেজস্বীকেই। সূত্রের খবর, ওই সমন্বয় কমিটির কাজ ইন্ডিয়া জোটের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি এবং নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করা। ভবিষ্যতে আসনরফা নিয়ে জট তৈরি হলেও সেই জট কাটাবে এই কমিটি। তেজস্বীকে এই কমিটির মাথায় রাখার অর্থ, বিরোধী জোট মোটামুটি স্পষ্ট করে দিল তাঁদের মুখ তেজস্বীই।
মহাজোটের আসনরফায় জট যে তৈরি হতে পারে, সে ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে। বিহারে ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং বামেদের সঙ্গে জোটে লড়েছিল কংগ্রেস। সেবার আরজেডি এবং বামেরা ভালো ফল করলেও কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। বস্তুত ২০২৪ লোকসভাতেও বিহারে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি হাত শিবির। যার জেরে এবার তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। আরজেডির তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ২৪৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে বড়জোর ৪০-৪৫ আসন ছাড়া হতে পারে।
আরজেডির ভাবগতিক বুঝে গত কয়েকমাসে বিহারে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। সেরাজ্যের রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ অখিলেশ সিংকে সরিয়ে আনা হয়েছে রাজেশ কুমারকে। প্রদেশ পর্যবেক্ষক পদে আগেই এসেছেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণা আলুভারু। এমনকী দিল্লি থেকে কানহাইয়াকে বিহারে পাঠিয়ে প্রচারের মুখ করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা মাঝে মাঝে হুঙ্কারও দিচ্ছেন, জোটে যোগ্য সম্মান না পেলে একাই লড়ার জন্য প্রস্তুত কংগ্রেস। কিন্তু দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তেজস্বীর বৈঠকের পর সব সমীকরণ বদলে গিয়েছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সম্ভবত তেজস্বীকে জোটের নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
