সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত ডোকলাম সীমান্ত সংঘাত একপ্রস্থ মেটার পর এই প্রথম বৈঠকে বসল ভারত ও চিন। শুক্রবার দুই দেশেরই সীমান্তরক্ষী ও আধিকারিকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। সীমান্ত পরিস্থিতির সামগ্রিক মূল্যায়ণ করা হয় এদিনের বৈঠকে, খবরটি জানিয়েছে পিটিআই।
দশম ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চায়না বর্ডার অ্যাফেয়ার্স বা WMCC শীর্ষক ওই বৈঠক বেজিংযে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১২-তে এই শীর্ষ সংগঠনটি তৈরি হয়। ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি প্রক্রিয়া অটুট রাখতে ও কোনও সমস্যা দেখা দিলে তার যৌথ সমাধানের জন্য তৈরি হয় WMCC। সীমান্ত সংঘাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে আলোচনার টেবিলে বসে সমাধানের রাস্তা খুঁজতে কাজ করে সংগঠনটি। এদিনের বৈঠকের ফল সদর্থক বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই। ভারত জানিয়েছে, চিনও সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতি কাটিয়ে ফেলে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে। মিলিটারি নামিয়ে দ্বন্দ্বের পথে গেলে যে আদতে দুই দেশেরই ক্ষতি, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়।
এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ভারত ও চিন দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। সংঘাতের পথে হাঁটলে ক্ষতি হবে দুই পক্ষেরই। আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ডোকলাম নিয়ে যুযুধান অবস্থান নিয়েছিল দুই পক্ষই। দু দেশের সেনাই একে অপরের চোখে চোখ রেখে অত্যাধিক ঠান্ডা ও উচ্চতায় যুদ্ধের প্রহর গুনছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৌত্ম্যে ও অজিত দোভালের কূটনীতিরই জয় হয়। অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দেয় দুই পক্ষই। সেনা সরে ডোকলাম থেকে। আসন্ন মাসেই নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসবেন ভারত, রাশিয়া ও চিনের বিদেশমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তার আগে এই বৈঠক সম্ভবত দুই দেশের সম্পর্কে জমা বরফ কিছুটা গলাল বলেই মনে করা হচ্ছে।
[ডোকলামে ফের মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনা, সতর্ক করলেন রাওয়াত]
The post ডোকলাম বিবাদের পর এই প্রথম বৈঠকে ভারত-চিন appeared first on Sangbad Pratidin.