সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরশেষে সুখবর। 'বিশ্বগুরু' হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোল দেশ। জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেল ভারত। কেন্দ্র সরকারি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য ৪.১৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে টপক ভারত এখন চতুর্থ স্থানে। একমাত্র আমেরিকা, চিন এবং জার্মানিই ভারতের চেয়ে এগিয়ে।
অর্থমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির বৃহৎ অর্থনীতি। যে গতিতে আমরা এগোচ্ছি তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির মূল্য দাঁড়াবে ৭.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে। ভারতের জিডিপি (GDP) ২০২২ সালে ছিল সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইতিমধ্যেই তা দ্বিগুণের কাছাকাছি। এই শতাব্দীর শেষেই তা প্রায় ৩ গুণ হয়ে ৭.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পরিণত হবে। এবং জার্মানিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার কৃতিত্বও অর্জন করবে ভারত।
প্রাথমিকভাবে মোদি সরকার টার্গেট করেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরা। ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলবে ভারত। মোটামুটিভাবে ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতকে তৃতীয় করার লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেটা করতে পারলে ২৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির যা জন্য বড়সড় অ্যাডভান্টেজ হতে পারে।
কারণ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম অভিযোগই হল অর্থনীতির দিকে নজর না দেওয়া। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার শুধুই নিজেদের এজেন্ডা পূরণের চেষ্টায় ব্যস্ত। অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু আর্থিক বৃদ্ধির এই হার ধরে রাখতে পারলে সেই অভিযোগেরও পালটা দেওয়ার হাতিয়ার খুঁজে পাবে গেরুয়া শিবির। যদিও বিরোধীদের দাবি, দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির নেপথ্যে মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতির উন্নয়ন।
