সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কড়া বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে দেশে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে পুরোদমে। এর জেরে দৈনিক সংক্রমণও কমেছে অনেকখানি। নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও। কিন্তু এসবের মধ্যেও চিন্তায় ফেলছে কোভিডের নয়া স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যার পোশাকি নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’। কীভাবে এই ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিহত করা সম্ভব, তা নিয়েই আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ৩১৮ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যে সংখ্যাটা গতকাল ছিল ১০ হাজারের খানিক বেশি। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ। কর্ণাটকের মেডিক্যাল কলেজে আবার একসঙ্গে আক্রান্ত ৭৭ জন। এদিকে মারণ ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬৫ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৩৩ জন।
[আরও পড়ুন: রেললাইন পারাপারের সময় বিপত্তি, ট্রেনের ধাক্কায় ৩টি হাতির মৃত্যু ঘিরে শোরগোল]
সংক্রমণ কমার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৯ জন। অর্থাৎ এখন সক্রিয় রোগীর হার ০.৩১ শতাংশ। গত বছর মার্চ মাসের এই প্রথম এতটা কম অ্যাকটিভ কেস। ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৯৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৬৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৪ শতাংশ।
টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই করোনা যুদ্ধে এগোনোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১২১ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৭৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ৯ লক্ষের ৬৯ হাজার ৩৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।