shono
Advertisement
DGCA

আহমেদাবাদের মতো বিমান বিপর্যয় আরও ঘটতে পারত! হাড়হিম তথ্য দিল DGCA

তথ্যের অধিকার আইনে প্রকাশ্যে এসেছে এমন খবর।
Published By: Gopi Krishna SamantaPosted: 04:15 PM Jul 15, 2025Updated: 04:46 PM Jul 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৫ বছরে টেক অফের পর ৬৫টি ভারতীয় বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, আপতকালীন পরিস্থিতিতে গত সতেরো মাসে ১১টি ‘মে ডে কল’ করা হয়েছে পাইলটদের তরফে। সংবাদমাধ্যেম টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় করা RTI-এর প্রেক্ষিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।  

Advertisement

আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পর থেকেই ঘটনার তদন্ত করছে ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’(AAIB)। কয়েকদিন আগেই আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে তারা। ভারতের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে বারবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা অস্বীকার করা হলেও তদন্তকারীরা বিমানের ‘ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ’টি খতিয়ে দেখছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার বোয়িং-সহ ভারতে চলাচলকারী সকল বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে DGCA। আর এবার RTI-এর ভিত্তিতে গত পাঁচ বছরের টেক অফের পর বিমানের যান্ত্রিক গোলোযোগ সংক্রান্ত একটি তথ্য দিল তারা।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের বি জে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি। দুর্ঘটনা নিয়ে ১৫ পাতার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয় ডিজিসিএ। সেখানে জানানো হয়, বিমানবন্দর থেকে টেক অফের এক সেকেন্ডের মধ্যেই জ্বালানির দু’টি সুইচই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে এই বিষয়টির উপর বিশেষ নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। এর মাঝেই এবার ডিজিসিএ নির্দেশ দিয়েছে বোয়িং-সহ সকল বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি ডিজিসিএ সাফ জানিয়েছে, এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। জানা গিয়েছে, যেসব বিমানের মডেলগুলো পরীক্ষা করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৭৭ এবং ৭৮৭ এর মতো বোয়িং বিমান, ৭১৭ এবং ৭২৭ এর মতো পুরানো মডেলও। তালিকায় রয়েছে কিছু ম্যাকডোনেল ডগলাস বিমান (MD-11 এবং MD-90 সিরিজ)। অনেক ভারতীয় ক্যারিয়ার এই বিমানগুলো পরিচালনা করে।

এরই মধ্যে, গত পাঁচ বছরে ঠিক কতগুলি ভারতীয় বিমানে টেক অফের পর যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা গিয়েছে তা জানতে RTI করা হয়। এরপরই DGCA-এর তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।সেই তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ৩১ মে ২০২৫ পর্যন্ত ১১টি মে ডে কল করা হয়। এরপরই বিমানগুলি জরুরি অবতরণ করে। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে প্রায় ৬৫টি বিমান টেক অফ করার পর সেগুলিতে যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা যায়। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে তাহলে কী আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার আগেও এমন বিভীষিকাময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত?  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত ৫ বছরে টেক অফের পর ৬৫টি ভারতীয় বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
  • অন্যদিকে, আপতকালীন পরিস্থিতিতে গত সতেরো মাসে ১১টি ‘মে ডে কল’ করা হয়েছে পাইলটদের তরফে।
  • সংবাদমাধ্যেম টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় করা RTI-এর প্রেক্ষিতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।  
Advertisement