সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধূলিসাৎ। বঙ্গবন্ধু ভবন ধ্বংসের বিরোধিতায় কড়া বার্তা নয়াদিল্লির। ধানমাণ্ডিতে হামলা নিয়ে বিবৃতি জারি করল ভারত। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, "শেখ মুজিবেরর বাড়ি বাঙালির কাছে গর্বের। দখলদারি-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক। এই ধরনের ধ্বংসলীলা কঠোরভাবে নিন্দনীয়।"
বলে রাখা ভালো, বুধবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ প্রথমেই মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুরু হয় ভাঙচুর। ৯টার একটু আগে থেকেই দেখা যায় তিনতলা জ্বলছে। বৃহস্পতিবার জানা যায়, ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বাড়িটি। তারপর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ধ্বংসলীলা নিয়েই কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি।
অবশ্য তার আগে ইউনুস সরকার এই নিয়ে মুখ খোলে। ইউনুস সরকারের দাবি, মুজিবকন্যার বক্তব্যে দুটি অংশ রয়েছে। একটা অংশ হল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাঁদের অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন। কেবল হাসিনা নয়, ইউনুস সরকার ভারতকেও পক্ষান্তরে ‘দায়ী’ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয়। এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।’
