সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ফের একবার বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। শনিবার বান্দিপোরা জেলায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে খতম হল ৬ জঙ্গি। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূলচক্রী জাকির রহমান লকভির ভাইপো এবং জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল রহমান মাক্কির ছেলে ওয়েইদ। তবে গুলির লড়াই শহিদ হয়েছেন বায়ুসেনার এক গরুড় কমান্ডো। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। শেষ পাওয়া খবরে এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা সেটা জানতে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার বিশেষ যৌথ বাহিনী।
[বিয়ের দিন কনেদের মাথায় কোন চিন্তা ঘুরপাক খায়?]
এদিন, গোপনসূত্রে বান্দিপোরার হাজিন এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার কথা জানতে পারে সেনা। এরপরই সেনার বিশেষ যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়। জঙ্গিদের ঘিরে ফেলার পরই শুরু হয়ে যায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। ঘটনাস্থলেই সেনার গুলিতে মারা যায় ওই ছয় জঙ্গি। শহিদ হন একজন গরুড় কমান্ডোর সদস্য। এরপরই জানা যায়, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূলচক্রী জাকির রহমান লকভির ভাইপো ওয়েইদ। সে আবার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল রহমান মাক্কির ছেলে। জামাতের শীর্ষ নেতা হাফিজ সইদের সহকারী মাক্কি আবার লস্করের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
এই অভিযানে যৌথ বাহিনীতে ছিলেন ভারতীয় সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার সদস্য এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা। এছাড়াও ছিলেন বায়ুসেনার ঘাতক গরুড় কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরাও। জঙ্গিদমনে সেনাবাহিনীকে সাহায্যের জন্য এবং এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পারদর্শী করে তোলার জন্যই এই বাহিনীকে সম্প্রতি কাশ্মীরে স্থলসেনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। অপারেশনের পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে মৃত সমস্ত জঙ্গিই পাকিস্তানি। ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এই দলটির বড় ধরনের কোনও হামলার ছক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত গোটা এলাকাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
[‘আর ক’টা পাকিস্তান তৈরি করবেন? ভারতকে আর কত টুকরো করবেন?’]
The post কাশ্মীরে বড় সাফল্য, সেনার গুলিতে নিকেশ মুম্বই হামলার মূলচক্রী লকভির ভাইপো appeared first on Sangbad Pratidin.