shono
Advertisement

Breaking News

Indian Navy

বাংলাদেশের ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর চিন! উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নৌসেনা

অস্থির বাংলাদেশের চিন ঘনিষ্ঠতা ঝুঁকির কারণ হতে পারে ভারতের জন্য!
Published By: Amit Kumar DasPosted: 02:36 PM Sep 16, 2024Updated: 02:36 PM Sep 16, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ দীর্ঘ বছরের বন্ধুতের সুতোতে টান পড়েছে। বরং চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বে বেশি উৎসাহী ইউনুস সরকার। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অস্থির বাংলাদেশের ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে ড্রাগনের দেশ। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে দেশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা। সেদিকে নজর রেখেই মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা।

Advertisement

চিন ও পাকিস্তান, দীর্ঘ বছর ধরেই ভারতের 'শত্রু' তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দুই নাম। বর্তমান সময়ে পাকিস্তান অতটাও মাথা ব্যাথার কারণ না হলেও, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসন নীতি ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। তার উপর বাংলাদেশের সরকার বদল ও চিন ঘনিষ্ঠতা সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতের। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে চিন যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করতে পারে সে আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না কূটনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে এখন থেকে রণকৌশল ঠিক করে নিতে আগ্রহী ভারত সরকার।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লির নতুন নৌসেনা সদর দফতরে চার দিনের জন্য হতে চলেছে উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক। চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম বৈঠক। যেখানে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আলাদাভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাকে নজরে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নজরে রেখে দেশের ৩ সেনাবাহিনীকে আগেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঠিক আগে চিন সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যদিও সেই সফরের আগে হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চললেও ভারতের স্বার্থ অখুন্ন রাখা হবে। যদিও সে প্রতিশ্রুতি পূরণের আগেই সরকার বদল হয় বাংলাদেশে। বর্তমানে ইউনুস সরকার দায়িত্ব নিয়েই চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। চিনও চায় বাংলাদেশকে হাতিয়ার করে ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি কায়েম রাখতে। এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে নৌসেনার এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বাংলাদেশের ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর চিন!
  • বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি ও চিন ঘনিষ্ঠতার মাঝে সমুদ্র নিরাপত্তায় বৈঠকে নৌসেনা।
  • বাংলাদেশকে ব্যবহার করে চিন যে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করতে পারে সে আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না কূটনৈতিক মহল।
Advertisement