সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে আর্থিক অসাম্য ক্রমশ বাড়ছে। লোকসভার প্রচারে নিত্যদিন দাবি করে চলেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতা বার বার অভিযোগ করেন, নিজের কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর জন্য কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি জমানায় বিকাশ হচ্ছে শুধু ধনীদের। রাহুলের সেই অভিযোগ যে খুব একটা ভিত্তিহীন নয়, সেটা স্পষ্ট হচ্ছে প্যারিস স্কুল অব ইকনমিক্সের অর্থনীতিবিদদের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, মোদি জমানায় আর্থিক অসাম্য টেক্কা দিচ্ছে ব্রিটিশ আমলকেও।
প্যারিস স্কুল অব ইকনমিক্সের ‘ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব’-এর অর্থনীতিবিদরা ভারতে আর্থিক অসাম্য শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে এখন ‘বিলিয়নেয়ার রাজ’ চলছে। এর ফলে ধীরে ধীরে ভারতের গোটা অর্থনীতি পুরোপুরি শুধু ধনীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
[আরও পড়ুন: শান্তনু গাঁজাখোর, ভোট দেবেন না! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দলেরই বিধায়কের, ভাইরাল অডিও]
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে ভারতের মোট সম্পদের ৪০.১ শতাংশই ধনীতম ১ শতাংশ ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত ছিল। আর দেশের মোট আয়ের ২২.৬ শতাংশই ওই ১ শতাংশ ধনীর দখলে। সেখানে সম্পদের নিরিখে নিচের দিকে থাকা ৫০ শতাংশের রোজগার মোট আয়ের মাত্র ১৫ শতাংশ। সম্পদের বিচারে একেবারে উপরের ১ শতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ৫৩ লক্ষ টাকা। সবথেকে ধনী ১০ হাজার ব্যক্তির গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা! একজন সাধারণ ভারতীয়র তুলনায় সেটা দু হাজার গুণ। সেখানে সম্পদের নিরিখে নীচের দিকে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষের গড় বার্ষিক আয় মাত্র ৭১ হাজার টাকা। ৪০ শতাংশ মধ্যবিত্তর আয় মোটামুটিভাবে বছরে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।। অর্থাৎ ধনীদের তুলনায় নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তর আয় একেবারে নগণ্য। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের আয় বিশ্বের সব বড় এবং উন্নত দেশের তুলনায় বেশি।
[আরও পড়ুন: আচমকা বুকে ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি সব্যসাচী চক্রবর্তী]
তবে এই ধনবৈষম্য শুধু যে মোদি জমানায় বেড়েছে তেমন নয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০০০ সালের পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে আয়ের এই অসাম্য। সুতরাং, এই বৈষম্যের দায় কিছুটা আগের সরকারগুলিকেও নিতে হবে। তবে এটাও সত্যি যে এই ধনবৈষম্য অনেক বেড়েছে মোদি জমানায়। বিশেষ করে কোভিড পরবর্তী সময়ে।