shono
Advertisement

Breaking News

দীর্ঘদিন পর ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বাড়ল সুদের হার, তবে প্রত্যাশা পূরণ হল কি?

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন‌্য কোনও সুখবর নেই।
Posted: 09:43 AM Dec 31, 2022Updated: 09:43 AM Dec 31, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন‌্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ও পোস্ট অফিসে (Post Office) জমা অর্থের উপর সুদের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে । দীর্ঘদিন পরে সুদের হার (Interest rates) বৃদ্ধি পেলেও প্রত‌্যাশার তুলনায় তা সামান‌্যই। তবে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের (PPF) জন‌্য কোনও সুখবর নেই। সুখবর নেই সুকন‌্যা সমৃদ্ধি যোজনার জন‌্যও। ফলে প্রধানত আমানতের সুদের উপর নির্ভরশীল প্রবীণ নাগরিকদের জন‌্য সুদ বৃদ্ধিতে বড় কোনও সুখবর এল না নতুন বছরের শুরুতে। অপরদিকে, কর্মচারী ভবিষ‌্যনিধি প্রকল্পের নীতিতেও কিছু বদল আনা হচ্ছে বলে শুক্রবার ইপিএফ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে এক নোটিসে জানানো হয়েছে, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে ১.১ শতাংশ পর্যন্ত হারে সুদ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এই হার কার্যকর হবে। ন‌্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, সিনিয়র সিটিজেন স্কিম এবং পোস্ট অফিসের সমস্ত ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপরই এই নতুন হার কার্যকর হলেও বাইরে রাখা হয়েছে আমআদমির সঞ্চয়ের অন‌্যতম ভরসা কেন্দ্র পিপিএফ-কে। এমনকী সুকন‌্যা সমৃদ্ধি যোজনাতেও বাড়ছে না সুদের হার। আর যে সমস্ত প্রকল্পের সুদের হার বৃদ্ধি হচ্ছে তাতেও গড়ে বৃদ্ধির পরিমাণ ০.২ থেকে ০.৪ শতাংশ।

[আরও পড়ুন: বছরের শেষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা গুজরাটে, বাস-গাড়ির সংঘর্ষে মৃত অন্তত ৯]

এনএসসি-তে ৬.৮ শতাংশের বদলে ৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে সুদের হার ৭.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৮ শতাংশ। ডাকঘর মাসিক আয় প্রকল্পে নতুন সুদের হার ৬.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৭.১ শতাংশ। পোস্ট অফিসে এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদের আমানতে ১.১ শতাংশ পর্যন্ত সুদের হার বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু তা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদের উপরেই কার্যকর। ফলে প্রত‌্যাশার থেকে প্রাপ্তির ঘর রয়ে গেল অনেকটা দূরেই।

অপরদিকে, এদিনই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প বিষয়ক নীতি বদলে সক্রিয় হল কেন্দ্র। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল ইপিএফও-র তরফে জানানো হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন প্রকল্প বা ইপিএস-এর নিয়ম বদল করা হচ্ছে। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি আইনে বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা প্রভিডেন্ট ফান্ডে তাঁদের বেসিক স‌্যালারি অর্থাৎ মূল বেতনের ১২ শতাংশ অর্থ জমা করেন। পাশাপাশি নিয়োগকারী সংস্থার তরফেও কর্মীদের পিএফ অ‌্যাকাউন্টে একই অঙ্কের অর্থ জমা দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: পঞ্চমবার ভাঙল পরীমণির সংসার, ‘ওর জীবনটা আমার মতো’ অভিনেত্রীর পাশে তসলিমা]

এই আইনেই ১৯৯৫ সালে কর্মী পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়। সেই আইন অনুযায়ী, যে সমস্ত কর্মীর মূল বেতন সাড়ে ছ’হাজারের কম, তাঁদের বেতনের যে ১২ শতাংশ অর্থ পিএফে জমা পড়ছিল, তার মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ নিয়ে পেনশন তহবিল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে। বর্ধিত হারে পেনশন পেতে চাওয়া কর্মীকে বাড়তি অনুদান হিসাবে মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ জমা করার সুযোগও দেওয়া হয়।

যদিও মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ২০১৪ সালে ইপিএসের নিয়মে বদল আনা হয়। পেনশন প্রকল্পের জন্য মূল বেতনের ঊর্ধ্বসীমা সাড়ে ছ’হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৫ হাজার। পাশাপাশি যাঁদের ১৫ হাজারের বেশি মূল বেতন, তাঁদের এই প্রকল্পে থাকার সুযোগ দেওয়া হয় কিন্তু শর্ত দেওয়া হয়, ১৫ হাজার টাকার অতিরিক্ত বেতনের ১.১৬ শতাংশ অর্থ পেনশন তহবিলে দিতে হবে। তবে গত নভেম্বরে ইপিএফও-র সেই শর্ত খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ওই শর্ত ‘সংবিধান বিরোধী’। এ বার সুপ্রিম শর্ত মেনে নিয়ে কেন্দ্র নতুন নোটিস জারি করল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement