সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার জন কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনঅ্যাকাডেমি (Unacademy)। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই সংস্থার কন্ট্র্যাক্টে থাকা ৩০০ জন শিক্ষককে ছেঁটে (Downsizing) ফেলা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে। অন্যান্য যে কর্মীরা ছাঁটাই হয়েছেন, তাঁরা ব্যবসা, সেলস-সহ অন্যান্য দফতরে কর্মরত ছিলেন। এই ছাঁটাইয়ের কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, খরচ কমাতেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোম্পানির তরফে। অথচ আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আনঅ্যাকাডেমি।
গত সপ্তাহেই প্রায় ৬০০ জন কর্মচারীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের আর অফিসে আসতে হবে না। এঁদের অধিকাংশই আনঅ্যাকাডেমির কন্টেন্ট বিক্রি করা এবং সংস্থার ব্যবসায়িক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন, “আনঅ্যাকাডেমি চাইছে খরচ (Cost Cutting) যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলতে। প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকেই খরচ কমানো দরকার বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। তাই কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কোম্পানির তরফ থেকে।”
[আরও পড়ুন: রাসেলের মতো নাচতে চান কিং খান, প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কামিন্সকে]
আনঅ্যাকাডেমির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সংস্থা উচ্চ মানের পারফরম্যান্স এবং সততার সঙ্গে কাজ করায় বিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, “বেশ কয়েকটি পরীক্ষা (Assessment) চালানো হয়েছিল আমাদের কর্মীদের মধ্যে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই খুব কম সংখ্যক কর্মীদের নির্ধারিত কাজের পরিবর্তন করা হয়েছে। আমাদের মতো বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক।” যদিও ছাঁটাই (Sacked) হওয়া কর্মীদের অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা এই খরচ কমানো সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাঁদের কাজ খারাপ হচ্ছে, সেই কথাও জানানো হয়নি বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।
ছাঁটাই (Lay Off) হওয়া এক কর্মী জানিয়েছেন, “মাত্র দু’মাসের মধ্যেই আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল। প্রতিদিন ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করতে হত আমাকে। প্রবেশনের সময় শেষ হতে না হতেই আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হল তা নিয়েও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। “আমার টিমের আরও ১৫-৩০ জনকে একইভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।” তিনি নাম জানাতে সম্মত হননি কারণ নাম জানালে তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি হবে বলে মনে করেন তিনি।