সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ফের প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের স্বচ্ছ ভারত যোজনার আসল রূপ। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হল এক কর্মীর চলন্ত ট্রেন থেকে রেললাইনে ময়লা ফেলার ভিডিও। যার জেরে ছি ছি রব উঠল দেশজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হলেও প্রশ্ন উঠেছে, হিমশৈলের চূড়ার মতো একজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে কী হবে? দুরপাল্লার ট্রেনে এই ছবি যে নিত্যদিনের!
বুধবার মাঝরাতে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে চলন্ত ট্রেন থেকে আইআরসিটিসির এক অন বোর্ড হাউসকিপিং সার্ভিস (ওবিএইচএস) কর্মী এসি কামরার বাথরুমের দেওয়ালে লাগানো ময়লা ফেলার বাক্স থেকে নোংরা, এঁটো জিনিস দরজা খুলে ফেলছেন। যিনি এই পোস্ট করেন, তাঁর দাবি ট্রেনটি প্রয়াগরাজ থেকে মুম্বই যাচ্ছিল। ভিডিওতে শোনা যায় সংশ্লিষ্ট কর্মীর এই ব্যবহারে আপত্তি জানাচ্ছেন অনেকে। কেন তিনি এমন নোংরা করছেন, সেই প্রশ্নও শোনা যায়। যদিও সেই কর্মীর ব্যবহারে খুব একটা হেলদোল দেখা যায়নি। উলটে মুখে হাসি রেখেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “রাতভর এটা (ডাস্টবিন) ভর্তি করতে থাকলে এত ময়লা কোথায় ফেলব?” মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিও। পরিস্থিতির চাপে রেলের তরফে জানানো হয়, সেই কর্মীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কন্ট্রাক্টরকেও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।
এখানেই অবশ্য থেমে যায়নি বিতর্ক। উঠেছে নানা প্রশ্ন। যার মধ্যে প্রধান হল, ট্রেনের মধ্যে থাকা ময়লা ফেলার ছোট্ট ওই জায়গা কার বুদ্ধিতে রাখা হয়েছে? প্রত্যেক যাত্রী যদি অন্য ময়লা না ফেলে শুধু খাওয়ার পরের নোংরা ও এঁটো বাসন সেখানে ফেলে, তাহলেই তো আর জায়গা হয় না। তাছাড়া ওই এক ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়ে কীই বা হবে? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোজই তো দেখা যায় এই ধরনের ঘটনা। কেউ আবার প্রশ্ন করেছেন, সত্যিই কি সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, নাকি স্রেফ নিজেদের মুখ বাঁচাতে শাস্তির কথা রটিয়ে দেওয়া হয়েছে?
