সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! দেশের প্রথম অ্যানালগ স্পেস মিশন লে-লাদাখে চালু করল ইসরো। ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পরবর্তীতে মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হবে বলেই অভিমত বিজ্ঞানীদের। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে, মহাকাশ অভিযানে যাওয়ার আগে পৃথিবীতেই যাতে মহাকাশের মতো কঠিন তথা প্রতিকূল পরিস্থিতি খুঁজে সেখানে মহাকাশচারীদের থাকার এবং গবেষণা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে–সে কথা মাথায় রেখেই এই মিশন সাজানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের এই নয়া মিশনটি পৃথিবীর বাইরের নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সাহায্য করবে। ইসরোর হিউম্যান স্পেসফ্লাইট সেন্টার ছাড়াও এই অভিযানের উদে্যাক্তা তালিকায় রয়েছে এএকেএ স্পেস স্টুডিও, লাদাখ বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি বম্বে। এছাড়াও সহযোগী হিসাবে রয়েছে লাদাখ অটোনোমাস হিল ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল। কিন্তু কেন, দেশের উত্তরতম প্রান্তের লে-লাদাখকেই বেছে নেওয়া হল ইসরোর এই মিশনের জন্য?
কারণ হল লাদাখের ভূপ্রকৃতি। এখানকার পরিবেশ, ভূ-তাত্ত্বিক গঠন থেকে শুরু করে মাটি, শুষ্ক আবহাওয়া, শৈত্য, উচ্চতা–সব কিছুর সঙ্গেই মঙ্গল গ্রহ এবং চঁাদের ভূপ্রকৃতির মিল রয়েছে। কাজেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, এই পরিবেশে প্রশিক্ষণ নিলে পরবর্তীতে মহাশূনে্য অভিযান করতে এবং সেখানে কোনও গ্রহের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে মহাকাশচারীদের। সব থেকে বেশি সহায়ক হবে গগনযান মিশনের অভিযাত্রীদের। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত মহাশূনে্য মহাকাশচারীদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, আগে থেকে অনুরূপ পরিবেশে থাকা এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলে তা পরবর্তীতে সেই অভিযানে মহাকাশচারীদের কাজে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্পেসফ্লাইটে দীর্ঘ সময়ের যাত্রারও অভিজ্ঞতা এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশচারীরা পাবেন বলে ধারণা ইসরোর বিজ্ঞানীদের।
অ্যানালগ স্পেস মিশনে যঁারা অংশগ্রহণ করবেন, তঁাদের অন্য গ্রহে প্রাণ অন্বেষণ করার বিবিধ কৌশল সম্পর্কেও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন কোনও গ্রহের পরিবেশ বোঝা, মানব-বর্জিত কোনও জায়গায় দীর্ঘ সময় থেকে গবেষণা চালানোর মতো মানসিক শক্তি আহরণেরও অভিজ্ঞতা মিলবে।