সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় নির্বিঘ্নেই মিটল ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার নির্বাচন। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রথম দফায় ভোট পড়ল প্রায় ৬৫ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত এই ভোটের হার আরও খানিকটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এদিন ওয়ানড়ে ভাগ্য পরীক্ষা হল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর।
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ডে বিধানসভায় প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হল ৪৩টি বিধানসভা আসনে। ভাগ্য পরীক্ষা হল ৬৮৩ জন প্রার্থীর। প্রথম দফায় ভোট হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৪টি বুথে। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফার ভোটে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, তাঁর ছেলে বাবুলাল সোরেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার স্ত্রী গীতা কোড়া, অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা মুন্ডা। বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দুই মন্ত্রী বান্না গুপ্তা, প্রাক্তন আইএএস অজয় কুমার এবং মন্ত্রী সুখরাম ওঁরাও।
ঝাড়খণ্ড দখলে এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের মতোই প্রচারে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যে হিন্দুত্বের লাইনে খেলেছে গেরুয়া শিবির। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থেকে এনআরসি সবই উঠে এসেছে প্রচারে। আবার হেমন্ত সোরেনের দুর্নীতির অভিযোগও উঠে এসেছে বিজেপি নেতাদের মুখে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট এ রাজ্যে সরকারের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন প্রকল্প এবং আদিবাসীদের জাত্যাভিমানকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার সঙ্গেই ১০ রাজ্যের মোট ৩১ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন হয়ে গেল বুধবার। একই সঙ্গে উপনির্বাচন হল কেরলের ওয়ানড় আসনের উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রেই এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে হাতেখড়ি হচ্ছে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। ওয়ানড়ের জনবিন্যাস যা বলছে, তাতে প্রিয়াঙ্কার জয় নিয়ে বিশেষ সংশয় নেই কংগ্রেসের অন্দরে। তবে তাঁর জয়ের ব্যবধান কত হয়, সেটাই দেখতে চাইছে হাত শিবির। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বেশি দেরি নেই। তাই বামেরাও এবার প্রিয়াঙ্কাকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাতে কোমর বেঁধে নেমেছে। বিজেপি আবার অভিযোগ করেছে, প্রিয়াঙ্কাকে জেতাতে টাকা, মদ, উপহার বিলি করছে কংগ্রেস। বুধবার সকালে আর পাঁচজন প্রার্থীর মতো সকালে বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস ভোটারদের প্রলোভিত করছে। টাকা, মদ, উপহার বিলি করে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে বলা হচ্ছে।” যদিও কংগ্রেস এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।