সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলা৷ শহিদ হয়েছেন জাগুয়ার বাহিনীর সাতজন জওয়ান৷ ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ ঝাড়খণ্ড-ছত্তিশগড় সীমান্ত লাগোয়া গারওয়ায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জাগুয়ার বাহিনী৷ সংঘর্ষ চলাকালীন ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা৷ তাতেই সাতজন জওয়ানের মৃত্যু হয়৷ এই বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অন্ততপক্ষে চারজন৷ প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক৷
[শিখ যুবকের সাজে গ্রেপ্তারি এড়িয়েছিলেন মোদি, কখন জানেন?]
ঝাড়খণ্ডের এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের নিরাপদ আস্তানা৷ গেরিলাদের হাত থেকে ওই এলাকা দখল মুক্ত করতে সম্প্রতি জাগুয়ার বাহিনী ও সিআরপিএফ যৌথ অভিযান শুরু করেছে৷ মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোবরা ছাড়াও সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে৷
মঙ্গলবার থেকে ওই এলাকায় আবারও শুরু হয়েছে মাও বিরোধী অভিযান৷ সন্ধেয় জাগুয়ার বাহিনী ও সিআরপিএফের যৌথ দল ঝাড়খণ্ড-ছত্তিশগড় সীমান্ত লাগোয়া গারওয়ারে পৌঁছয়৷ শুরু হয় অভিযান৷ মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জাগুয়ার বাহিনী৷ সেই সময় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা৷ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একে একে ছজন জওয়ান শহিদ হন৷ বুধবারও শহিদ হন আরও এক জওয়ান৷ এই বিস্ফোরণে চারজন জওয়ান জখম হয়েছেন৷ প্রত্যেকের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক৷
[চাকরি ছাড়ার ৩০ দিনের মধ্যেই তোলা যাবে পিএফ-এর ৭৫ শতাংশ টাকা]
ডিআইজি বিপুল শুক্লা বলেন, গারওয়ারে এখনও মাওবিরোধী অভিযান জারি রয়েছে৷ খবর মিলেছে, বেশ কয়েকজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন৷ জখমদের শারীরিক অবস্থার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে৷
গত রবিবারও কুজরুমে মাওবিরোধী অভিযান চালায় জাগুয়ার বাহিনী ও সিআরপিএফ৷ গুলির লড়াইয়ে তিন জওয়ান শহিদ হন৷ তারপরই মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন সাত জওয়ান৷