সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট হাই কোর্টের (Gujarat High Court) বিচারপতি হেমন্ত কুমার প্রচ্ছককে বদলি করে দিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গুজরাট হাই কোর্ট থেকে তাঁকে সরানো হল পাটনা হাই কোর্টে। গত ৩ আগস্ট বিবৃতি দিয়ে কলেজিয়াম জানিয়েছে, মোট ৯ জন বিচারপতিকে বদলি করা। এর মধ্যে গুজরাট হাই কোর্টের চার বিচারপতি ছিলেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হেমন্ত কুমার প্রচ্ছকের।
‘মোদি পদবি’ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) শাস্তি মকুব করার আরজি জমা পড়েছিল তাঁর এজলাসে। তিনি রাহুলের শাস্তি মকুব করেননি। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দেন, শাস্তি মকুব করার মতো কোনও যুক্তি রাহুলের আইনজীবীরা দেখাতে পারেননি। সেই রায়ের জেরে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফেরত পেতে বিলম্ব হয়। পরে সুপ্রিম রায়ে রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ ফেরত পান। এবার শীর্ষ আদালতের কলেজিয়াম সেই বিচারপতিকে বদলি করে পাটনা হাই কোর্টে (Patna High Court) পাঠাল।
[আরও পড়ুন: ‘JU হস্টেল নিয়ে রোমান্টিসিজম ছিল’, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর বিস্ফোরক আরেক ছাত্র]
বিচারপতি প্রচ্ছককে নিয়ে সংশয়ের বাতাবরণ আগে থেকেই ছিল কংগ্রেসের অন্দরে। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক এক সময় বিজেপি নেতাদের হয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকী গুজরাট দাঙ্গায় (Gujarat Riot) অভিযুক্ত তৎকালীন মন্ত্রী মায়া কোদনানির হয়েও মামলা লড়েছেন তিনি। ২০০২ সালে আমেদাবাদের নারোদাগাঁও এলাকায় এক দাঙ্গায় মহিলা ও শিশু-সহ প্রায় শতাধিক মুসলিম খুন হন। সেই মামলায় সম্প্রতি বেকসুর খালাস হওয়া মায়া কোদনানিদের অন্যতম কৌঁসুলি ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন]
বিরোধীদের দাবি, বিজেপি ঘনিষ্ঠতার পুরস্কারও পেয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক। ২০১৫ সাল পর্যন্ত গুজরাট হাই কোর্টের প্লিডার হিসাবে কাজ করতেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে গুজরাট হাই কোর্টে সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপরই বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। যদিও অতীতে কোনও বিচারপতি কোন মামলার আইনজীবী ছিলেন, সেটা পুরোপুরিই তাঁর পেশাদারি সিদ্ধান্ত, সেই অতীত ঘেঁটে বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা নেহাতই বোকামি বলে মনে করছে আইনজীবী মহল।