সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন! এবার প্রশ্নটি তুলে দিল এক আদালতেরই পর্যবেক্ষণ। এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক খুনের মামলায় সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করেছে, অনেক সময় উন্নতির জন্য, সুনামের জন্য, নির্দোষদেরও দোষী ঘোষণা করে দিচ্ছে নিম্ন আদালত।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ এবং বিচারপতি সৈয়দ কামার হাসান রিজভির বেঞ্চ বলছে, ফৌজদারি মামলায় ভুলবশত দোষী সাব্যস্ত হওয়া আসামিদের ক্ষতিপূরণের জন্য আইন চালু করা প্রয়োজন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় নিম্ন আদালতের বিচারকরা উচ্চ আদালতের রোষের মুখে পড়ার আশঙ্কায় অথবা উন্নতির জন্য নির্দোষ ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করে দেন। উপযুক্ত প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। মূলত ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে এরকম হয়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এলাহাবাদ হাই কোর্টের ওই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র সুনাম রক্ষার জন্য কিংবা পেশাগত উন্নতির পথ খুলতে ন্যূনতম প্রমাণ না থাকা সত্বেও অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে দেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। এই ধরনের মামলায় তাঁরা হাই কোর্টের কোপের মুখে পড়াকে ভয় পান। শুধুমাত্র নিজের পেশাগত সম্ভাবনার কথা ভেবে এই ধরনের রায় দেওয়া হয়। এইভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের জরিমানা দেওয়া উচিত বলেও মনে করে এলাহাবাদ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় তা সম্ভব হয় না।
আসলে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ২০০৯ সালের একটি খুনের মামলা শুনছিল। ২০০৯ সালে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণের দাবি না মেটায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলেও পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এলাহাবাদ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই মামলায় পণের দাবির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। এমনকী, অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।