সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়কট নয়, বরং নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে জাতীয় ঐক্যের উৎসব। কাজেই মতবিরোধ ভুলে সকলে সেই উৎসবে শামিল হোন। বিরোধীদের উদ্দেশে এমনই আবেদন জানালেন দক্ষিণী অভিনেতা তথা রাজনীতিক কমল হাসান (Kamal Haasan)। তাঁর মতে, বিরোধিতা থাকতেই পারে। তা প্রকাশ্যে আনাই উচিত। তবে তার পাশাপাশি সংসদেও উত্থাপন করা উচিত এবং নতুন সংসদ ভবন সেই মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে। মতবিরোধ, তর্ক-বিতর্কের মধ্যে দিয়ে যাতে আরও ভালভাবে দেশের গণতন্ত্র আরও মজবুত হতে পারে এর মধ্যে দিয়েই। তাই যাঁরা রবিবারে এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আরজি জানিয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার।
অভিনয় জগতে নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন বহুদিন ধরে। শুধু দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে নয়, গোটা দেশের সিনেপ্রেমীরা এক নামে তাঁকে চেনেন। এর পাশাপাশি কমল হাসান বরাবর নিজের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। সামসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে যেমন সিনেমার পর্দায় নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনই সংসদীয় রাজনীতির মাটিতে পা রেখেও সেই বিশ্বাস আর আদর্শ ধরে রেখেছেন। তৈরি করেছেন নিজের দল মাক্কাল নিধি মাইয়াম (MNM)। যদিও জনমানসে তার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি এখনও। তবু আদর্শ ধরে রেখে লড়াই চালাচ্ছেন কমল হাসান। আর তা মূলত বিজেপি বিরোধী।
[আরও পড়ুন: রেকর্ড সময়ে নির্মাণ নয়া সংসদ ভবনের, বয়কট নয়, প্রশংসা করুন, বিরোধীদের বললেন গুলাম নবি]
তবে এবার নতুন সংসদ ভবন (New Parliament Bhaban) উদ্বোধন নিয়ে যে বিতর্কের রেশ ছড়িয়েছে দেশজুড়ে, তাতে আদর্শগতভাবে বিজেপি বিরোধী হয়েও ভিন্ন অবস্থান নিলেন কমল হাসান। এই ঐতিহাসিক নির্মাণের জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতিকে (President of India) আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্তে মোটেই একমত হতে পারেননি। তাঁর কথায়, ”দেশের গর্ব নতুন সংসদ ভবন। আপনাদের সঙ্গে আমিও এই আনন্দ উদযাপন করব। তবে রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রিত না থাকার বিষয়টিতে আমি আমার মতে অনড়।” এনিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। কেন রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হল না? সেটা দেশবাসীকে বলুন।”
[আরও পড়ুন: শালবনি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, নাম দিলেন সদ্যোজাত শিশুর]
পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। কমল হাসানের আবেদন, “যাঁরা অনুষ্ঠানটি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা আরেকবার ভেবে দেখুন। একে জাতীয় ঐক্যের উৎসব হিসেবে আমরা সকলে শামিল হই। বিরোধিতার দিন তো পড়েই রইল। যদিও ইদানিং জাতির গর্ব অনুভবের মধ্যেও রাজনৈতিক বিভেদ রয়েছে।”