সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদের ৮৫ শতাংশই সংরক্ষণের আওতায়! রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত জাতিগত সমীক্ষার ভিত্তিতে সংরক্ষণ কার্যকর করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম ভাঙতে হবে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে। এমনটাই রিপোর্ট দিল সে রাজ্যের জাতিগণনার জন্য তৈরি হওয়া কমিশন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনার দাবি জানিয়ে আসছেন। রাহুল সরব হওয়ার আগেই অবশ্য বিহারে জাতিগত জনগণনা করান নীতীশ কুমার। পরে কর্নাটকেও জাত সমীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট দীর্ঘদিন প্রকাশ করা হয়নি। শোনা যায়, কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের ওই জাতগণনা নিয়ে কিছুটা আপত্তির জায়গা ছিল। কিন্তু হাই কম্যান্ডের নির্দেশে সেই আপত্তি উড়িয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতগণনা কমিশন।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সে রাজ্যের জনসংখ্যার যে বিন্যাস তাতে স্রেফ ওবিসিদের জন্যই সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫১ শতাংশ করতে হবে। আর সব মিলিয়ে মোট সংরক্ষণ পৌঁছে যাবে ৮৫ শতাংশে। অর্থাৎ অসংরক্ষিত সরকারি চাকরি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসন থাকবে মাত্র ১৫ শতাংশ। ওই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, অনগ্রসর জাতির সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫১ শতাংশ করতে হবে। যা আগে ছিল ৩২ শতাংশ। তফসিলি জাতির এবং তফসিলি উপজাতির সংরক্ষণের পরিমাণ করতে হবে ২৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ আগে থেকেই রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও রাজ্যেই সংরক্ষণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। কর্নাটকের এই আইন কার্যকর করতে হলে সেই নিয়ম ভাঙতে হবে। যদিও রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ হলেও সেটা আইনে পরিণত হবে না। এই আইন কার্যকর করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। তাছাড়া কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারও এই রিপোর্ট কার্যকর করতে কতটা আগ্রহী সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।