সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের শৌচালয় পরিষ্কার করছে পড়ুয়ারাই। শুধু তাই নয়, ছুটির পরে অধ্যক্ষার বাড়িতে গিয়ে মালির কাজও করতে হয়েছে। একদিন-দুদিন নয়, দীর্ঘ একবছর ধরে চলেছে এমন কাণ্ড। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) একটি সরকারি স্কুলে। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু দপ্তরের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই স্কুলটি। সেখানকার পড়ুয়াদের এমন দুর্দশার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কালাবুরাগির মৌলানা আজাদ মডেল স্কুলে ঘটেছে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, জোর করে পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুলের শৌচালয় পরিষ্কার করাতেন অধ্যক্ষা। তার পর নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের দিয়ে কাজ করাতেন। বাগানের সমস্ত কাজ করতে হত মডেল স্কুলের পড়ুয়াদের। উল্লেখ্য, কর্নাটক সরকারের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছিল একাধিক মডেল স্কুল। তার মধ্যেই অন্যতম এই বিদ্যালয়টি।
[আরও পড়ুন: ৭০০ ময়নাতদন্ত করেছেন, রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়ে কেঁদে ফেললেন মর্গ কর্মী]
দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকার পরে সরব হন ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার বাবা। মহম্মদ জামির নামে ওই ব্যক্তি জানান, স্কুলে গিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করতে হয় তাঁর ছেলেকে। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জামির আরও জানান, অধ্যক্ষার কাছেও অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অধ্যক্ষার মতে, স্কুল পরিষ্কার করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই তাই পড়ুয়াদেরই হাত লাগাতে হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই কর্নাটকের পড়ুয়াদের উপর ‘অত্যাচার’এর ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করছে দলিত পড়ুয়ারা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গভীর ট্যাঙ্কে নেমে পরিষ্কার করছে পড়ুয়ারা, সেই ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। তার পরে ফের পড়ুয়াদের উপর নির্যাতনের ঘটনা শোনা গেল কর্নাটক থেকে।